‘তুই প্রফেসরগিরি দেখাস’—চবির দুই অধ্যাপকের বাকবিতণ্ডা ভাইরাল

চবির দুই শিক্ষক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন ও সাইদুল ইসলাম সরকার
চবির দুই শিক্ষক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন ও সাইদুল ইসলাম সরকার  © সংগৃহীত

‘ননসেন্স তো তুই, তুই প্রফেসরগিরি দেখাস আমার সাথে? ফাজিল কোথাকার, তুই আমাকে বেয়াদব বললি কেন? তুই বেয়াদব বলার কে? শামীম উদ্দিন খান কে?’ এভাবেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওশানোগ্রাফি বিভাগের একজন অধ্যাপকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করেন একই বিভাগের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক, সহকারী অধ্যাপক। এমনই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিভাগটির সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকার। এসময় একাধিকবার অধ্যাপকের দিকে এগিয়ে এসে ধমকাতে দেখা যায় সহকারী অধ্যাপককে। 

জানা যায়, গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান ওশানোগ্রাফি বিভাগে পরিদর্শনে আসেন। উপ-উপাচার্যের আসার আগমুহূর্তে সাইদুল ইসলামের বিভাগে দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞেস করতেই তিনি অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

এ বিষয়ে ওশানোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিন বলেন, গত ২৬ নভেম্বর ওশানোগ্রাফি বিভাগে চবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান পরিদর্শনে আসার পূর্ব মুহূর্তে আমরা কি নিয়ে আলোচনা করবো এগুলো আলোচনা করছিলাম। এসময় সাইদুল ইসলাম বিভাগে দেরিতে আসার কারণ জিজ্ঞেস করতেই আমার সাথে গালিগালাজ ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এ ছাড়া আমাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি-ধামকি দেন তিনি। যা ভিডিওতে রেকর্ড আছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালরের প্রো-ভিসিকে নিয়েও অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় কটূক্তি করেন।

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলামকে একাধিক ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর অধ্যাপক ড. মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার কারণ হলো, তিনি আমাকে আগে বেয়াদব বলেছেন। তুইতোকারি করে কথা বলেছেন। তারপর আমি তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি ওইদিনই জেনেছি। এটার অভিযোগ উপাচার্য বরাবর হয়তো দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও আছে। এটা নিয়ে তদন্তও হয়েছিলো। তবে, এ ঘটনার বিষয়ে আমি এখন সঠিক বলতে পারছি না।

উল্লেখ্য, সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকার ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোর বিরোধী ছিলেন। এজন্য ওশানোগ্রাফি বিভাগ থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতি নমনীয় হওয়ায় তিনি ক্যাম্পাসে আসেন।


সর্বশেষ সংবাদ