৪ দফা দাবিতে চবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 

মানববন্ধন
মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক যাকীয়াহ্ তাসনিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ৪ দফা দাবিতে বিভাগটির শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

জানা যায়, গত ২৮ জুলাই নিয়ম বহির্ভুতভাবে সি.আর. এর মাধ্যামে পরীক্ষা কমিটির সভপতি ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাকিয়াহ্ তাসনিম আনঅফিসিয়াল রেজাল্ট প্রকাশ করেন যে রেজাল্ট গেজেটেড হয় ১৮ আগস্ট। 

পরে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে চাইলে পরীক্ষা কমিটির প্রধান হিসবে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। পরে তারা বিভাগে অভিযোগ জানালে প্রশাসন ২৮, ২৯ আগস্ট ও ১লা সেপ্টেম্বর ওনাকে মিটিংয়ে ডাকলেও, তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকে সাড়া দেননি। পরে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসানের নেওয়া সিদ্ধান্ত ফলাফল পুনর্মূল্যায়নে বাধা প্রদান করে। 

বাধাপ্রদানের সময় ওনার স্বামী মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপককে নিয়ে এসে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে হুমকি দিয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহ-এ-নুর কুদসী ইসলামকে দেখে নেওয়ার ও জেলের ভাত খাওয়ানোর  হুমকি দেন। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন,  ইংরেজি বিভাগের এম.এ. (২০২১) ফলাফল পুর্নমূল্যায়নে বাধাপ্রদান এবং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহ-এ-নুর কুদসী ইসলাম ম্যামের  সাথে পরিক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে অশোভন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় হুমকি প্রদান করায় মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন ও তার স্ত্রী ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক যাকীয়াহ্ তাসনিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ও এর প্রতিবাদ জানাতে আমরা  বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একসাথে জড়ো হয়েছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর আসু পদক্ষেপ এবং জড়িতের শাস্তি দাবি করছি। 

এ বিষয়ে ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নেজাম উদ্দিন বলেন,  জাকিয়াহ্ তাসনিম স্যার যতবার পরীক্ষা কমিটির প্রধান হয় ততবার ফলাফল বিপর্যয় ঘটে। এর আগে সিনিয়র ব্যাচ ৫১ এর স্নাতক ৪র্থ বর্ষের ফলাফলেও একই ঘটনা ঘটে যেখানেও তিনি প্রধান ছিলেন পরীক্ষা কমিটির। এমনকি ৮ বছর সেশনজটে রেখে শিক্ষার্থীদের তাতে মাত্র ০.০১ পয়েন্টের জন্য ২.৯৯ সিজিপিএ দেন। এবারও আমাদের এম.এ ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ৪১জন শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দেন। যেটা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। সাহিত্য বিভাগে কেউ কীভাবে ১২০ জনের মধ্যে ৪১ জন ফেল করে বসবে এটা মানা যায় না। আমরা এর দ্রুত কার্যকরী সুরাহা ও দাবি মানার অনুরোধ জানাচ্ছি। 

বিভাগের জুনিয়রদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে সাবেক আরেক শিক্ষার্থী  আহমেদ রেজা খান বলেন, বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি করছি। সে সাথে এভাবে একটা বিভাগের চেয়ারম্যানকে হুমকি তারা কোন বলে দেন।  আমরা প্রশাসনের কাছে এর যৌক্তিক বিচার দাবী করছি।

সেসময় মানববন্ধন থেকে তারা প্রশাসনের কাছে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে  পূরণের জন্য ৪ দফা দাবি পেশ করেন। তারা বলেন যদি দাবি মেনে না নেওয়া হয় তবে তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 

তাদের দাবিগুলো হল- মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। 
অন্য বিভাগের অধ্যাপককে নিয়ে এসে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক  মাহ-এ-নুর কুদসী ইসলামকে হুমকি দেওয়ায় অত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক যাকিয়াহ্ তাসনীমের বিরুদ্ধে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা নিতে হবে।

এছাড়াও এম.এ. (২০২১) এর পুনর্মূল্যায়ন কমিটি বহাল রেখে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার ব্যাবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব। ইংরেজি বিভাগের দীর্ঘদিনের সেশনজট ও লো সিজিপিএ নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি জানান তারা। 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence