যুক্তরাজ্যে ‘শিক্ষাছুটিতে যাওয়ার অনুমতি’ নিয়ে চবি অধ্যাপক চাকরি করেন দুবাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে

ড. ইদ্রিস আলম
ড. ইদ্রিস আলম  © সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেলোশিপের জন্য ছুটি নিলেও সেখানে না গিয়ে দুবাইয়ে অন্য একটি উচ্চশিক্ষালয়ে চাকরির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডিত্তোর (পোস্ট ডক্টরাল) ফেলোশিপের জন্য চবি থেকে এক বছরের ছুটি নেন তিনি।

এরপর এ ছুটি শেষ হলে তিনি আরও ছুটি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এসময়ে যুক্তরাজ্যে থাকার কথা থাকলেও তিনি সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পূর্ণকালীন চাকরি করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের রাবাদান একাডেমিতে। ফলে তার ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নাকচ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

চবি প্রশাসনের তথ্য বলছে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের রাবাদান একাডেমিতে কর্মরত ড. ইদ্রিস আলমের এ ধরনের অনৈতিক সুবিধা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দেশের বাইরে কর্মরত থাকলেও ড. ইদ্রিসকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে বিভাগটির দু’জন চেয়ারম্যান এবং আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। 

ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলমের বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যানকে বিস্তারিত জানাতে বলেছি। বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবঅধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বিষয়টি নিয়ে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল, ড. ইদ্রিস আলম যুক্তরাজ্যের লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডিত্তোর (পোস্ট ডক্টরাল) ফেলোশিপের জন্য এক বছরের ছুটি নিলেও তিনি সেখানে না গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের রাবাদান একাডেমিতে যান। এরপর থেকে তিনি অদ্যাবধি সেখানেই অবস্থান করছেন। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কাছে থেকে এমন বিষয় কাম্য নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে একই চিঠিতে।

বিষয়টি নিয়ে বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. আলমের ছুটি না বাড়িয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সে চিঠি বা নোটিশের কোনো জবাব না দিয়ে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাবাদান একাডেমিতেই কাজ করতে থাকেন এবং মাঝেমধ্যে চবি আসতেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৪০ মাসের মতো সময় তিনি কোনো ছুটি ছাড়াই তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরও তার বেতন-ভাতাতি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উচ্চশিক্ষালয়টির শিক্ষকরা।

রাবাদান একাডেমির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ড. ইদ্রিস আলমের সম্পর্কে তথ্যাবলি। ছবি: ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।

ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলম কর্তৃক যুক্তরাজ্যের লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটিতে সবেতনে পোস্ট-ডক ছুটির আবেদন এবং ছুটি মঞ্জুর সংক্রান্ত কাগজপত্র এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। সেখানে ব্যাপক অনিয়ম ও গোঁজামিলের প্রমাণ মিলেছে। এতে দেখা যায়, ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলম যুক্তরাজ্যের লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটির একজন সহযোগী অধ্যাপক কর্তৃক ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করার জন্য আমন্ত্রিত হন যাতে ফেলোশিপ কার্যক্রমের কোন টার্মস এন্ড কন্ডিশন উল্লেখ ছিল না। 

ওই আমন্ত্রণপত্রের ভিত্তিতে ড. আলমের ছুটির আবেদন বিভাগীয় সভাপতি হিসেবে তিনি নিজেই ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির ৩৩৭তম (সাধারণ) সভার বিবিধ ৫ (ক) এর অধীনে এজেন্ডাভুক্ত করেন। ওই দিন বিভাগে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও চরম অনৈতিকভাবে আগের দিন সভার উপস্থিতি তালিকায় স্বাক্ষর নিয়ে বিভাগীয় শিক্ষক ড. অলক পালকে নজিরবিহীনভাবে সভায় উপস্থিত দেখানো হয় এবং ড. মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহর সহযোগিতায় ড. ইদ্রিস আলম খুশিমতো সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করেন। 

এ সংক্রান্ত কাগজপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, সভায় উপস্থিত একজন সদস্য এ অনৈতিক কাজের বিরোধিতা করে লিখিত ভিন্নমত প্রদান করে তার কপি প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট প্রেরণ করেন। এ কারণে ড. ইদ‍্রিস আলমের আবেদনে উল্লেখিত ছুটি শুরুর দিন তথা ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করেনি। 

ফলশ্রুতিতে ড. মুহাম্মদ ইদ্রিস আলম এবং তাঁর সহযোগীগণ মাত্র ৬ দিন পর ০১/১২/২০১৯ তারিখ ভিন্নমতকারী শিক্ষক ও প্লানিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে প্ল্যানিং কমিটির ৩৮ তম (সাধারণ) সভায় পুনরায় বিবিধের ৫নং এজেন্ডার অধীনে আইন অনুযায়ী ছুটি প্রাপ‍্য শিক্ষকের সর্বোচ্চ সংখ‍্যা ২০% এর স্থলে ৩১.৫% হওয়ার পরও ছুটির আবেদনটি ভিন্নমতবিহীনভাবে সুপারিশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা ২য় বার রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেন। 

এই সিদ্ধান্তে ড. মো. ইদ্রিস আলমের পোস্ট-ডকের ছুটি মঞ্জুর ও জিও (সরকারি আদেশ) প্রদানের সংশোধিত আবেদনের প্রেক্ষিত উল্লেখ করা হয়, যা প্রকৃতপক্ষে সভা অনুষ্ঠানের তিনদিন পর তথা ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর তারিখে প্রদান করা হয় যা চরম অসঙ্গতিপূর্ণ। ড. ইদ্রিস আলমের ছুটি সংক্রান্ত আবেদন, তা সুপারিশ ও ছুটি মঞ্জুর কিংবা তাঁর দেশত‍্যাগের মধ‍্যে এ ধরনের আরো অনেক অসংগতি রয়েছে যা কেবলমাত্র যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে চবির এক অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলম ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। এছাড়াও তার একটি অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে বলে শুনেছি এবং তিনি সে পাসপোর্ট দিয়েই রাবাদান একাডেমিতে চাকরি নিয়েছেন। নিয়ম ভেঙ্গে তিনি কীভাবে চবি থেকে বেতন-ভাতা  এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ তা তদন্ত করে দেখা উচিত।

চবি শিক্ষকরা বলছেন, অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলম ছুটি ছাড়াই কীভাবে এতো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। এর সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদেরও বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। এছাড়াও সরকারি বিধি অনুযায়ী, ছুটি ছাড়াই ১০ কর্মদিবস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তার চাকরি থাকার সুযোগ নেই। সেখানে কীভাবে এতোদিন অনুপস্থিত থাকার পরও এতো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তিনি—তা তদন্ত করে বের করা এবং প্রয়োজনে তা ফেরত আনা উচিত।

আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে চবির ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকায়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত নথি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলম চবিতে না থাকলেও তিনি বেতন-ভাতা এবং উৎসব ভাতা গ্রহণ করেছেন নিয়মিতই। তিনি গ্রেড-৩ এর অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশে না থেকেও। হিসেব বলছে, তিনি প্রতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক লাখেরও বেশি অর্থ (বাংলাদেশি টাকা) গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে আগস্ট, ২০২২ সালে তার বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাবলি মিলিয়ে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. ইদ্রিস। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গেলেও তিনি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন নিয়মিতই। 

২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪০-৪৫ লাখেরও বেশি টাকা গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলম। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন উৎসবেও নিয়মিত ভাতাও পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে তিনি বোনাস হিসেবে নেন ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা। এভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকলেও প্রতিনিয়তই সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন আরব-আমিরাতে থাকা এই অধ্যাপক।

বিষয়টি এখন উচ্চ আদালতের এখতিয়ারের অধীনে। আমি এটা মন্তব্য করতে পারছি না। আমি আমার যুক্তি উচ্চ আদালতে পেশ করেছিড. ইদ্রিস আলম, সহযোগী অধ্যাপক, রাবাদান একাডেমি। 

অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাবাদান অ্যাকাডেমির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষালয়টির ইন্টিগ্রেটেড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার প্রোফাইলে দীর্ঘ কর্ম অভিজ্ঞতা এবং গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট সব তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে।

আর প্রভাব খাটিয়ে এবং আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলমকে দেশের বাইরের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে সুযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চবির ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. আলী হায়দারের কাছে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এরকম কোনো কিছুই হয়নি এবং হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একই সাথে ড. ইদ্রিস আলমের ছুটি এবং তার থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে নিজের সম্পৃক্ত থাকার সব অভিযোগ অস্বীকারও করেন তিনি।

আরও পড়ুন: মাভাবিপ্রবির নিয়োগে প্রথম-দ্বিতীয়কে ছাপিয়ে শিক্ষক হয়েছেন ১১তম প্রার্থী

দায়িত্ব পালনকালে কোনো অনিয়ম হয়নি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালে অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলম শুরুতে ছুটি নিয়েছেন এবং ফেরত এসেছেন। পরবর্তীতে তিনি রাবাদান একাডেমিতে চাকরি নেওয়ার পর আর ফেতর আসেননি। এ বিষয়ে তখন আমরা প্রয়োজনীয় কর্তৃপক্ষকে দু’বার জানিয়েছিলাম।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অধ্যাপক ইদ্রিস আলম অবৈধভাবে সুযোগ সুবিধা নেওয়ার কথা না। তবে তিনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে বেতন-ভাতা ও অন্য কোনো সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তবে এগুলো ফাইলপত্র দেখে বিস্তারিত বলতে হবে; এছাড়া বলা সম্ভব না। 

আরও পড়ুন: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ভেঙে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ সৌমিত্র শেখরের 

তবে বিষয়টি নিয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুব মোর্শেদের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ড. ইদ্রিস আলমকে এ কাজে বিভিন্ন সময়ে বিভাগীয় প্লানিং ও অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা থেকে এজেন্ডা প্রত‍্যাহারসহ নানাভাবে সহায়তা করার অভিযোগ থাকলেও এ বিষয়ে বিভাগটির অধ্যাপক ড. অলক পালেরও কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বর্তমানে রাবাদান একাডেমিতে থাকা ড. ইদ্রিস আলম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, বিষয়টি এখন উচ্চ আদালতের এখতিয়ারের অধীনে। আমি এটা মন্তব্য করতে পারছি না। আমি আমার যুক্তি উচ্চ আদালতে পেশ করেছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইদ্রিস আলমের বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যানকে বিস্তারিত জানাতে বলেছি। বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence