ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গেস্টরুম নিয়ে তর্কাতর্কি, ছাত্রলীগের এককর্মীর মারধরে হাসপাতালে আরেককর্মী
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫১ AM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ০১:০২ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় একাত্তর হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীর ওপর আরেক কর্মীর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হলের গোসলখানায় গোসল করা অবস্থায় ভুক্তভোগী কর্মীকে রড নিয়ে আঘাত করেন অভিযুক্ত কর্মী। আহত ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুম’ কর্মসূচিতে ডাকা নিয়ে তর্কাতর্কিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মুর্শেদুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই শিক্ষাবর্ষের নাঈম। দুজনই ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত গণরুমে থাকেন।
হল ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ মার্চ মুর্শেদুল ইসলাম গেস্টরুমে না যাওয়ায় তারই বন্ধু নাঈমকে ডাকতে পাঠান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তখন গণরুমে নাঈমের সঙ্গে মুর্শেদুলের তর্কাতর্কি হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে তাদের দুজনকে একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ‘মীমাংসা’ করে দেন দ্বিতীয় বর্ষের একদল শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী মুর্শেদুল জানান, ৭ মার্চের ঘটনার জের ধরে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর একটার দিকে তিনি গোসল করতে গেলে হঠাৎ নাঈম এসে গোসলখানার দরজায় লাথি দেন। মুর্শেদুল দরজা খুলে দেখেন নাঈম জামার মধ্য থেকে রড বের করে তাকে মারার জন্য। ভয়ে দরজা আটকে দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সে রড দিয়ে মুর্শেদুলের মাথায় আঘাত করে। এরপর হাতে ও পিঠে অসংখ্য আঘাত করে। পরে তার অন্য বন্ধুরা দেখতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: গুলশান চাকার ধাক্কায় প্রাণ গেল তিতুমীর কলেজছাত্র ইমামের
অভিযুক্ত নাঈম বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান শরীফের অনুসারী বলে পরিচিত। অন্যদিকে, মারধরের শিকার মুর্শেদুল হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম শিশিরের অনুসারী। শরীফ ও শিশির উভয়েই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের রাজনীতি করেন এবং হল শাখা ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী।
সাইদুর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৮ মার্চের মনোমালিন্যের পর আমরা ডেকে নাঈম ও মুর্শেদুলকে মিলিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই ঘটনার রেশ যে এখনো রয়ে গেছে, তা আমরা বুঝতে পারিনি। আজ যা ঘটেছে, তা একটা দুর্ঘটনা।’
জাহিদুল ইসলাম শিশির বলেন, আমি যতদূর শুনলাম, ওরা দুইজন বন্ধু। সম্ভবত ওদের আগে একটা ঝামেলা ছিল। সেটা নিয়ে দুজনের মধ্যে রাগারাগি এবং হাতাহাতি হয়েছিল। এরপর আবার ওদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা সিনিয়ররা কথা বলছি, মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুল বাছির গণমাধ্যমকে জানান, এখনো তিনি বিষয়টি অবহিত নন। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে হলের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।