১৮ বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে আইন অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন চবি

পুরষ্কার গ্রহণ করছে চবির চ্যাম্পিয়ন দল
পুরষ্কার গ্রহণ করছে চবির চ্যাম্পিয়ন দল  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৪র্থ জাতীয় আইন অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এবং রানার আপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। 

 ইস্পাহানি লিমিটেড এর সহযোগিতায় শনিবার (১৯ আগস্ট) সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ (এসসিএলএস) এর উদ্যোগে চবির আইন বিভাগে আয়োজিত হয় অলিম্পিয়াডের সমাপনী পর্ব। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জে.বি.এম. হাছান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিনিয়র জেলা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া, চবি আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি জে.বি.এম. হাছান বলেন, বিশিষ্ট আইনজ্ঞদের সামনে এসে দাঁড়াতে পারা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ হিসেবে মনে করছি। আইনশাস্ত্র ও আইন তত্ব বিষয়ক এই প্রতিযোগিতায় এসে নিজেকে অনেক জ্ঞান দীপ্ত করতে পেরেছি। আমি যে স্তম্ভে দাঁড়িয়ে আছি, সেটা প্রতিষ্ঠা করেছিল আমার মহৎ শিক্ষক শাহ আলম। 

তিনি আরও বলেন, আইন অঙ্গনে আইনের একজন শিক্ষার্থীকে বিচারক, আইনজীবী, আইনজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে এসসিএলএর সংগঠনটি অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। এমন একটি সংগঠন গড়ে তোলার জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব জসীম আলীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। ‘সাংবিধানিক আইন’কে আজকের সিম্পোজিয়ামের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করার কারণে আমি এর আয়োজকমন্ডলীকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, সংবিধান হলো রাষ্ট্রের প্রতিটি  নাগরিকের মালিকানার দলিলপত্র। বাংলাদেশের জনগণকে নিয়েই শুরু হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সংবিধানের প্রস্তাবনা।

তিনি বলেন, মৌলিক অধিকার ভোগ করা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বপ্ন। এসকল মৌলিক অধিকারের জনগণকে সচেতন করা উচিত। কারণ, এটা নাগরিকদের বাঁচার নিশ্চয়তা দেয়, যেটা নিয়ে তারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বপ্ন দেখতো।

 সংবিধান একটা জাতির ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এমন বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে তিনি তার বক্তব্যের পরিসমাপ্তি করেন।

এই অলিম্পিয়াডে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অলিম্পিয়াডের ৫টি পর্বে তারা তাদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন।

অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাংবিধানিক আইনের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের দক্ষ দক্ষতা, মেধা ও সৃজনশীলতা তুলে ধরেন।

জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় দেশের ১৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে।প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দল চ্যাম্পিয়ন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় রানার আপ হয়েছে। 

বাংলাদেশের আইন শিক্ষাকে নতুন মাত্রার এগিয়ে নিতে এসসিএলএস কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে সংগঠনটি যাত্রা শুরুর পর থেকে বিভিন্ন ধরনের জাতীয় প্রতিযোগিতা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে আসছে।


সর্বশেষ সংবাদ