২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে, পাবেন ১০ হাজার শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৯ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২০ PM
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও ইউনেসকোর যৌথ সহযোগিতায় শুরু হতে যাচ্ছে ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্প। আগামী সপ্তাহে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট মিলিয়ে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। ধাপে ধাপে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সহিংসতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বড় পরিসরে এ উদ্যোগ নিয়েছে ইউজিসি। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইলট কার্যক্রম চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও এ উদ্যোগের আওতায় আসবে।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত দরপত্র এড়িয়ে ইউজিসি ও ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে পণ্য ক্রয়ে ব্যয় ৮২ কোটি
জুলাই মুভমেন্টের কারণে শিক্ষার্থীরা রক্ত দেখেছে, মারামারি দেখেছে। এ ব্যাপারগুলো তাদের যে পরিমাণ কষ্ট দিচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। রিপোর্ট অ্যাসিস্ট করে মডিউল তৈরির কাজও প্রায় শেষ। যেসব ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হয়েছে বা আন্দোলনে আহত হয়েছে বা যেসব এলাকায় আন্দোলন বেশি হয়েছে সে এলাকাগুলোর প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্ব পেয়েছে। সেই সঙ্গে টপ গ্রেডের কিছু ইউনিভার্সিটিও প্রাধান্য পেয়েছে। এভাবে বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া সেট করে ইউনিভার্সিটিগুলো সিলেক্ট করা হয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ উদ্যোগের সূচনা করতে চাই। ধাপে ধাপে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ কার্যক্রম চলবে। সাম্প্রতিক নানা প্রতিকূলতা ও মানসিক চাপ শিক্ষার্থীদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তা কাটিয়ে উঠতে এবং তাদের পুনরায় শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী ও শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা, আত্মবিশ্বাস ও শিক্ষাক্ষেত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’