গবেষণা: জিপিএ বেশি পেতে গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করুন

  © প্রতিকী ছবি

পড়াশোনায় ভালো ফল করতে প্রচুর পড়ার বিকল্প নেই। তবে পড়ার পাশাপাশি গান শুনলে নাকি আরও ভালো ফল করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন বিশ্ববিদ্যালয় সিএসইউ গ্লোবালের পক্ষ থেকে ওয়ান পোলের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।

নতুন এ গবেষণার আওতায় গান শোনা ও পড়াশোনার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, যাঁরা গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করেন, তাঁদের পরীক্ষার ফল জিপিএ–৩ দশমিক ২–এর ওপরে।

যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলার পর ওই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, যেসব শিক্ষার্থী নিয়মিত গান শোনে তারা বেশি জিপিএ পেয়েছে। উত্তরদাতাদের ৬০% বলেছেন পড়ার সময় গানের শব্দ থাকলে তাদের পড়াশোনা আরও ভালো হয়।

আরও পড়ুন: ৪২তম বিসিএসে টিকেও নিয়োগ পাননি ৩৪ চিকিৎসক

লস অ্যাঞ্জেলেসের জরিপে  অংশ নেয়া ৮০ ভাগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কাজ বা পড়ার সময় গান শোনার অভ্যাস ঔষধের মতো কাজ করে।

শুধু গানই নয়, কেউ কেউ পড়াশোনার সময় অন্য শব্দও শুনতে পছন্দ করতেন। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ প্রকৃতির শব্দ, ২৬ শতাংশ বাস্তব জীবনের শব্দ এবং ২৪ শতাংশ মানুষ পডকাস্ট শুনতে পছন্দ করতেন।

জরিপে বিশেষজ্ঞরা জানতে চান, গান শোনার অভ্যাস কার্যকরী হলেও এ ক্ষেত্রে কোন গান বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। 

এতে তারা লক্ষ্য করেন, ক্লাসিক গান শোনার অভ্যাস করলে এ সময় বেশি উপকার পাওয়া যায়। আর সবচেয়ে কম কার্যকরী হয় পপ সংগীত শোনার অভ্যাস থাকলে।

এজন্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় সংগীত শোনার অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর বেশি জোর দেন গবেষক ড. ক্রিস্টিনা অ্যাগভেন্ট।

পড়তে পড়তে যাঁরা গান শোনেন, তাঁদের মধ্যে শাস্ত্রীয় সংগীত শোনেন ৩১ শতাংশ, রিদম অ্যান্ড ব্লুজ শোনেন ২৮ শতাংশ এবং লোকসংগীত শোনেন ২৮ শতাংশ মানুষ। গান শুনতে শুনতে পড়াশোনা করা মানুষের মধ্যে ৫৮ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে আর ৪১ শতাংশের বয়স ৫৮ থেকে ৭৬ বছরের মধ্যে। 

যাঁরা গান শুনতে শুনতে পড়েন, তাঁদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মনে করেন, এটি থেরাপির মতো কাজ করে। ৭৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন, পড়াশোনা রপ্ত করার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। যাঁরা পড়তে পড়তে গান শোনেন, তাঁদের মধ্যে ৮১ শতাংশ বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে তাঁরা অনেক বেশি করে তাঁদের শেখার অভিজ্ঞতাকে উপভোগ করতে পারেন।

ক্রিস্টিনা অ্যাগভেন্টও বলেন, ‘পড়ার সময় সুর শোনার বিষয়টি কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্য দিয়ে তারা মূল বিষয়বস্তুর ওপর তাদের মনোযোগ বাড়াতে পারে। আমি সবাইকে বিভিন্ন সুর ও শব্দ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করব, যেন নিজেদের পড়াশোনার পরিবেশের জন্য সহায়ক বিষয়টিকে তারা বেছে নিতে পারে।’


সর্বশেষ সংবাদ