আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস

আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস
আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবস   © প্রতীকী ছবি

আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস বা আর্থ ডে। দিবসটির মূল লক্ষ্য পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তোলা। জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য দিবসটি প্রতি বছর পালন করা হয়। “আমাদের পৃথিবীতে বিনিয়োগ করুন” এই প্রতিবাদ্য বিষয়টিকে সামনে রেখে এবারের দিবসটি পালন করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ সালে জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচুর লোক সমাগম ঘটে। তখন দেশটির প্রায় ২ কোটি মানুষ রাজপথে জড়ো হয়েছিল। মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন ১৯৭০ সালে দিবসটি চালু করেন।  এরপর থেকেই ‍দিবসটি প্রতিবছর উদযাপিত হয়ে আসছে। এ দিনটিতে সারা বিশ্বের পরিবেশ সচেতন মানুষ বিভিন্ন পরিবেশ বিষয়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিয়েছে।

আরও পড়ুন: লাউয়ে আছে যত উপকার

এদিকে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে গাছপালা এবং মানুষ গাছ লাগাচ্ছে এমন চিত্র দিয়ে বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষার আহবান জানিয়েছে গুগল ডুডল।  গুগল এ দিবসটিতে ইউটিউবেও একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গেছে একটি শিশু গাছের বীজ বপন করছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গেই বড় হয়ে উঠছে সেই গাছ।

এদিকে ফেসবুক তার বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ফেসবুক একটি লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আয়োজনও করেছে।

বাংলাদেশেও দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সিরডাপ মিলনায়তনের সেমিনার হলে ‘পৃথিবীকে রক্ষা করতে বাস্তুসংস্থানসমূহ নিরাপদ করি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আতিক রহমান।

আরও পড়ুন: পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ বার্তা দিয়ে শেষ হলো ‘ন্যাশনাল ন্যাচার সামিট’

অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসাবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।  স্বাগত বক্তা হিসাবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।

প্রসঙ্গত, পরিবেশ রক্ষার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন দেশে নানা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও বিশ্বজুড়ে পরিবেশ রক্ষার এই সংগ্রাম আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ