রাজশাহী পলিটেকনিক
ছাত্রলীগের সকল ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে ফেললো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১০ PM , আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০, ০৭:৩১ PM
রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে ও ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকালে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এসময় ছাত্রলীগের সকল ব্যানার ফেস্টুন পলিটেকনিক ক্যাম্পাস থেকে নামিয়ে নিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে ‘ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, ভেঙ্গে দাও, ঠাই নাই ঠাই নাই, ছাত্রলীগের ঠাই নাই, প্রিন্সিপালের অপমান, মানি না মানব না, এধরনের বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাসে রাজনীতির নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা প্রতিনিয়ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করে চলেছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে। রাসেল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ একটি ভীতি হিসেবে কাজ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন ভীতি থাকতে পারে না। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
জানা যায়, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে নিজ কার্যালয়ে আসছিলেন অধ্যক্ষ। এসময় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাকে ধরে নিয়ে জোর করে পুকুরে ফেলে দেয়। সাঁতার জানার কারণে তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
এঘটনায় শনিবার রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে রাতভর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের ২৫ নেতা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্ররা জানান, ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন সৌরভ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রিগেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে তারা। নানান অপকর্মে জড়িয়েও পড়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন সৌরভের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, ক্যাম্পাস থেকে সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সকালে একটি মানববন্ধন হয়েছে। বর্তমানে পলিটেকনিকের অবস্থা শান্ত রয়েছে।