৫ হাজার প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের সমাবেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৯ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৩ PM
প্রায় ৫ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সমাবেশ করেছেন শিক্ষকেরা। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল। পরে বিভিন্ন ধাপে অনেক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও ২০১৯ সালের মে মাসের ২৫ তারিখের আগে প্রতিষ্ঠিত প্রায় ৫ হাজার বিদ্যালয় এখনো এর বাইরে রয়ে গেছে।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. নওশাদ আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। শত প্রতিকূলতার মাঝেও বিশ্ব দরবারে আজ বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি ও কনসালটেশন কমিটির সুপারিশকৃত অনধিক পাঁচ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জোর দাবি জানান তিনি। সমন্বয়ক মাহবুবা মালা বলেন, জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমরা অন্যের শিশুকে পাঠদান দিলেও আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। এমতাবস্থায় শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক অহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সব বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা হলেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অনধিক পাঁচ হাজার জাতীয়করণ বঞ্চিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুকৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সমাবেশে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্যে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা বলেন, ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য একটি চিঠি ইস্যুতে বলা হয়, ২ হাজার ৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ তালিকা বহির্ভূত বিদ্যালয়ের আবেদনসমূহের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সারসংক্ষেপ প্রেরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। এরপর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কয়েক দফা আন্দোলন করার পর ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়। কিন্তু আজও এ বিষয়ে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।