শাবিপ্রবিতে আন্দোলন
প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেসব দাবি জানালেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:১৫ PM , আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৮ PM
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: ভিসি বাসভবনে আসা-যাওয়া বন্ধ, সামনে মানব দেয়াল তৈরি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ১০৫ ছাত্রলীগ নেতা।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের জরুরি ভার্চুয়াল সভা শেষে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ডাবল মাস্ক পরে শিক্ষামন্ত্রীকে শাবিপ্রবিতে যেতে সাংসদের পরামর্শ
বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সভায় শাবিপ্রবিতে ছাত্র-আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রাণহানির সংশয়ে পড়া বিপন্ন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র এবং শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের (১৯৯১-১৯৯৩) প্রথম সভাপতি মো. ফরিদ আলম। সভাটি পরিচালনা করেন চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ও শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মকদ্দুস-স্বাধীন কমিটির (১৯৯৫-৯৭) সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ।
সভায় শাবিপ্রবির বৃহৎ স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে—
১) অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের অনশন ভাঙানো প্রয়োজন। এ জন্য তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২) যে বিশেষ মহল আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পুলিশি আক্রমণ পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
আরও পড়ুন: অনশনের ১০০ ঘণ্টা পূর্ণ, শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ
৩) ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর কথিত যে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করা হয়েছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার।
সভায় শাবিপ্রবির সাবেক ছাত্রলীগের প্রথম ব্যাচ থেকে শুরু করে সর্বশেষ ব্যাচের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এই সভায় ক্যাম্পাস পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে সবাই আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তারা এ ঘটনার দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।