টুকুর মাথা ফাটানো সেই বরকত বহিষ্কার, স্ট্যাটাস ভাইরাল

  © সংগৃহীত

গঠনতন্ত্রবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ নানা অভিযোগে ৩২ জন নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ছাত্রলীগ। এর মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।

আর বাকি ১১ জন পদ থেকে অব্যাহতি নিতে নিজেরাই আবেদন করেছিলেন। তবে তাদের বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে পৃথক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ছাত্রলীগ।

ওই তালিকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বরকত হোসেন হাওলাদারও রয়েছেন। তাকে একসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যহতি পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বরকত। তাতে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননী স্নেহমহী ভগিনী বঙ্গবন্ধু কন্যা বিদ্যানন্দিনী বিশ্বনেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আমার প্রানপ্রিয় আপা। ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী বরকত হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।’

এরসঙ্গে তিনি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর ওপর হামলার একটি ছবি এবং ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিও সংযুক্ত করেছেন। ওই হামলায় টুকুর মাথা ফেটে যায়। স্ট্যাটাসটি দেয়ার পর তা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মী তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

মীর তারেক নামে একজন লিখেছেন, ‘এ রকম বরকত একবারই জন্মায়। আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা রাজপথ কাঁপানো অত্যন্ত ত্যাগী ও পরিশ্রমী ছাত্রনেতা বরকতকে হারিয়ে এই ছাত্রলীগ কোন দিনই ভালো কিছু করতে পারবেনা। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করা উচিত! আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।’

আশিস রায় লিখেছেন, ‘আপনার কি অপরাধ জানিনা, দলের জন্য সর্বোচ্চ রিক্স নিয়েছেন, তবে তার পুরস্কার পেয়ে গেলেন! আশা রাখি সেই দিন আর না আসুক, তবে সময় আসলে কেউ আর ছাত্রলীগের বরকত হতে চাইবে না। কারণ তারা বুঝে গেছে ত্যাগী ও সংগ্রামী দের মূল্যায়নটা কি হয়....। তবে ছোট ভাই হিসেবে পাশে থাকবো সারাজীবন। দোয়া করবেন।’

মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘যদি টুকুর উপর হামলা করা অপরাধ হয় তবে বরকত হাওলাদারের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। তবে এর বাইরে কি অপরাধ আছে তাও খোলাসা করতে হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে। কথা দিচ্ছি ছাত্রলীগে আর ত্যাগী নেতা জন্ম নেবে না।’

আরিফ শেখ তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করতে গিয়ে, ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে ছাত্রলীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের বাদ দিয়ে দেওয়াটাও কিন্তু অন্যায় এবং অপরাধ। ক্ষমতার মসনদ কারো জন্যই চিরস্থায়ী নয় -এটা ভুলে যাবেন না। রাজপথের ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের এমন অবমূল্যায়নই সংগঠন ধ্বংসের কারণ হয়ে যেন না দাঁড়ায়। রাজনীতির নামে মিথ্যাচার, নোংরামি, ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতি বন্ধ হোক।’


সর্বশেষ সংবাদ