জকসু নির্বাচন স্থগিত, ভিসির পদত্যাগ চেয়ে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা
শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা  © টিডিসি ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন স্থগিত হওয়াতে সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া সকল প্যানেলের প্রার্থীরা ও শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বিএনপিপন্থী শিক্ষক রইছউদ্দীনকে জকসু পেছানোর কারিগর হিসেবে উল্লেখ করলে ক্ষিপ্ত হয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় শাখা ছাত্র দলের নেতাকর্মীরা ভিসির পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে। 

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জকসু স্থগিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের প্রধান ফটকের সামনে এই স্লোগান দিতে থাকেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

স্লোগানে স্লোগানে তারা বলেন, জকসু আমার অধিকার, জকসু চাই, জকসু চাই, ভিসি ছি ছি, ভিসির দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, জকসু না ভিসির পদত্যাগ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে সকালে বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন বেগম জিয়ার মৃত্যুকে হাতিয়ার বানিয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষক রইছ উদ্দীন ভিসিকে চাপ দিয়ে জকসু বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা শিক্ষক রইছ উদ্দীনকে ধিক্কার জানিয়ে নানাবিধ স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, রইছ না জকসু, জকসু জকসু’, ‘সিন্ডিকেট না জকসু, জকসু জকসু’, ‘সিন্ডিকেটের দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘আজকেই হতে হবে, জকসু জকসু’ প্রভৃতি শ্লোগান দিতে থাকেন। 

এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপিপন্থী শিক্ষক রইছ উদ্দীন অঘোষিত ভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছে। তার সিদ্ধান্তের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুই হয়না। 

এদিন বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। টানা চার ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর নতুন সিদ্ধান্ত আসলে তিনি অবরুদ্ধ মুক্ত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!