সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৬ PM , আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৪৮ AM
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৩০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল হাসান সুজন ও সাধারণ সম্পাদক সুবহে সাদিক সন্ধি এসব দাবি তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের “নো ভ্যাট অন এডুকেশন” আন্দোলন, ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, এই শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন এবং দায়িত্বশীল। এখন সময় এসেছে এই অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করার।’
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অভিন্ন টিউশন ফি নির্ধারণ, অভিন্ন গ্রেডিং নীতিমালা বাস্তবায়ন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এসব সংকট নিরসনে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ছাত্র সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তারা বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দ্রুত ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ছাত্র ইউনিয়ন নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টি অবৈধ মুনাফা তুলতে প্রশাসনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকারকে দমন করছে, অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের গোপন রাজনৈতিক তৎপরতা নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছে। এই দ্বৈতনীতি কোনোভাবেই চলতে পারে না।’
ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা আরও বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে শিক্ষাঙ্গনকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে। বৈষম্যমূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া ১০ শতাংশ কর বাতিল এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণই আমাদের একমাত্র পথ। এই লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত।’