বরিশালে ঝাড়ু-খুন্তি হাতে আন্দোলনে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীরা
- বিএম কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০১ PM , আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৮:০১ PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত, গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবি আদায়ে বরিশাল নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড অবরোধ ও বিক্ষোভে ঝাড়ু- খুন্তি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩ আগস্ট) সাড়ে ১২ টার পর থেকে নতুল্লাবাদ গোল চত্বরে জড়ো হয়ে ঢাকা- বরিশাল প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। এসময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে কয়েকজন ঝাড়ু-খুন্তি দেখিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বরিশালে নতুল্লাবাদের পাশাপাশি নগরীর টাউনহল, বিবির পুকুর পাড়, বিএম কলেজের মসজিদ গেট, হাতেম আলী চৌমাথা এলাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ ঝাড়ু,কেউ রান্নার খুন্তি হাতে নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিকভাবে এক দফা দাবি ঘোষণা
বিক্ষোভে ঝাড়ু দেখিয়ে প্রতিবাদ করার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম জানান, আমাদের পরিবার হাতে কলম তুলে দিয়েছে, অস্ত্র তুলে দেয়নি। সেজন্য কলম বাদ দিয়ে হাতের কাছে যা পেয়েছি, তা নিয়েই রাজপথে চলে এসেছি।
বঙ্গবন্ধু মুক্তির জন্য বলেছিলেন তোমাদের যার কাছে যা আছে তা নিয়ে ঝাপিয়ে পরো, সুতরাং আমরাও ভাইদের রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হাতের কাছে যা পেয়েছি তা নিয়ে স্বৈরাচারের মোকাবেলা করতে এসেছি—যুক্ত করেন এই শিক্ষার্থী।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশে এখন পর্যন্ত ২১৬ জনেরও বেশি আন্দোলনকারী এবং শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের দাবি—এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণজোয়ারে উত্তাল শহীদ মিনার, তিল ধারণের ঠাঁই নেই
পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্য ও সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের হামলায় এসব আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি আন্দোলনকারীদের।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বাতিল চেয়ে আন্দোলনে নামে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর আন্দোলন তীব্র হতে থাকলে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকার সমর্থকরা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে মামলা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে।