মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি বুটেক্স ছাত্রলীগ

  © লোগো

২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) তরিকুল ইসলাম টিপুকে সভাপতি এবং মো. আব্দুল্লাহ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আংশিক কমিটি গঠনের ২৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এর ফলে বুটেক্স ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

দীর্ঘদিন রাজনীতি করে পদহীন থাকায় ক্ষোভ দেখিয়েছে অনেকে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পেছনে উদাসীনতাকে দায়ী করছেন কেউ কেউ। তবে বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শিগগির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ১ জুন বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দেয় ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। দুই সদস্যবিশিষ্ট অনুমোদিত এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে তরিকুল ইসলাম টিপু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো: আব্দুল্লাহ জয় অনুমোদন পান। এক বছরের জন্য অনুমোদিত কমিটিতে ২৩ জন স্থান পান। 

এদিকে চলতি বছরের ১৪ মার্চ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান বুটেক্স ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা জানা যায়। বিজ্ঞপ্তি মতে, নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ জয়কে তার স্বীয় পদ হতে অব্যাহতি প্রদান করে বুটেক্স ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরানকে সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

কমিটি কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়া নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সাংগঠনিকভাবে ব্যর্থ এ কমিটির মেয়াদের দুই বছরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কমিটির অন্যান্যদের নিয়ে কোনো সাংগঠনিক মিটিং করেনি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। এই কমিটি এখন পর্যন্ত কোনো হল কমিটি, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কোনো কিছুর বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা করেনি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কাছে আবেদন থাকবে বুটেক্সে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে এখানে নিয়মিত কমিটি যেন নিশ্চিতকরণ করা হয় যাতে ছাত্ররাজনীতির প্রতি শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়।

আরেকজন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, সময় মতো কমিটি পূর্ণাঙ্গ হলে সাংগঠনিক ধারা বজায় থাকবে। পাশাপাশি কর্মীদের যথার্থ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। তাই বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সকল কর্মীর প্রাণের দাবি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মেনে সাংগঠনিক গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হোক এবং ইউনিটের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী হোক।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরান বলেন, আমরা অতি দ্রুতই পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং হল কমিটি বাস্তবায়নে লক্ষ্যে জীবনবৃত্তান্ত আহবান করব, তা যাচাই-বাছাই করে মুজিব আদর্শের সৈনিকদের নিয়েই অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিব। কোনো হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী এবং বিতর্কিত কেউ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাবে না।

বুটেক্স শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু বলেন, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি। নেতাকর্মীদের কার্যক্রম, সাংগঠনিক দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করছি। অতিদ্রুতই তাদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিবো। তারপর সুন্দর ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি বুটেক্স ছাত্রলীগকে উপহার দিব।


সর্বশেষ সংবাদ