ধর্ষণের শিকার নারীর থেকে টাকা আদায়, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২৯ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২৯ PM
নওগাঁর পত্নীতলায় নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন পারভেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে পৌরসভার আলহেড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ধর্ষক মাহাবুর আলমসহ ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার কান্তইল গ্রামের মাহাবুর আলমের সঙ্গে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই উপজেলার গোড়াই গ্রামের ২৩ বছর বয়সী এক নারীর। গত বুধবার সকালে ওই নারী তার ৪ বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মাহাবুর আলমের সঙ্গে ছাতড়া বাজারে দেখা করতে যান। পরে মাহবুর আলম তাকে মোটরসাইকেলে পার্শ্ববর্তী নজিরপুর পৌর এলাকায় নিয়ে যান। এরপর বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা
ধর্ষণের সময় শিশুটির চিৎকার শুনে সেখানে এগিয়ে যান আরাফাত হোসেন পারভেজসহ চার থেকে পাঁচজন যুবক। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষিতার থেকে বিকাশে ৫ হাজার ও ধর্ষক মাহবুর আলমের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা নেন ছাত্রলীগ সম্পাদক পারভেজ। এ সময় ধর্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটরসাইকেল কেড়ে নেন।
পরে সন্ধ্যায় সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভুক্তভোগী নারীকে আবারও আটক করে ছাত্রলীগ নেতা পারভেজের সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক। পুনরায় তারা মহিলার পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় শিশুসহ নারীকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।
অভিযোগের বিষয়ে নজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত হোসেন পারভেজ বলেন, ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে অনেক প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছে। বিরোধী পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলায় আমার নাম জড়িয়েছে। ওই নারীর কাছ থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগটি সঠিক নয়। উলটো আমার সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেছে।
পত্নীতলা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) অর্পন কুমার দাস বলেন, ঘটনাটি জানার পর রাতেই পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করাসহ দুই যুবককে আটক করা হয়। ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ছাত্রলীগ সম্পাদক পারভেজ পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাকেসহ বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।