ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে এসএসসিতে অকৃতকার্যরা

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে এসএসসিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষে এসএসসিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল  © সংগৃহীত

চার দফা দাবিতে  ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করেছেন চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিক্ষোভ শেষে তারা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ  করেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে  তারা সচিবালয়ে অভিমুখে রওনা হন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা  ঢাকা বোর্ডের  চেয়ারম্যান এহসানুল কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন এ বিষয়ে বোর্ডের কিছু করার নেই। মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশ দেবে, শিক্ষা বোর্ড সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। তাই আমরা সচিবালয়ে এসেছি। কিন্তু সচিবালয়ে আসার পথে আমরা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম। পরবর্তীতে পুলিশ আমাদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো- প্রশ্নপত্রের বৈষম্য দূর করতে হবে বোর্ডভেদে প্রশ্নের মান ও জটিলতায় যে অসামঞ্জস্যতা ছিল, তা বিচার করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা অ্যাকাডেমিক বছর হারিয়ে না ফেলে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশ মিলিয়ে পাশের ব্যবস্থা করতে হবে পৃথকভাবে পাশের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে সামগ্রিক মূল্যায়নে পাশ বিবেচনা করতে হবে। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হতে পারে, সেহেতু পরীক্ষা শুরু এবং ফলাফল প্রকাশে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। তাই প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি না হতে পারলেও, প্রতিশ্রুতি দিতে হবে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে কলেজে অ্যাডমিশন নিতে পারবে।

এর আগে, সকালে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা বলেন, এসএসসি পরীক্ষার খাতা সুষ্ঠুভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। এ কারণে ফেলের হার বিগত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যারা এক বিষয়ে ফেল করেছেন তাদেরকে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত, তা না হলে তাদের এক বছর সময় নষ্ট হবে। তাদেরকে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষার সংস্কার না করে রেজাল্টের সংস্কার করায় এ বছর ফেলের হার বেশি।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। ফেল করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছাত্র এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী।  


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!