মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ভারত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০৬:৫৫ PM , আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২, ০৬:৫৫ PM
বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে ভারত সরকার। চলতি বছর মোট ১ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেয়া হবে। গত ২৭ মার্চ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পড়ুন বিনা খরচে সাংবাদিকতা পড়ার সুযোগ দিচ্ছে ভারত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করে ভারত সরকার। প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে ৪ বছর এবং উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে ২ বছর বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হতো। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় এই বৃত্তি অব্যাহত ছিল। এটি বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের সরকার ও জনগণের চিরস্থায়ী অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বর্তমান বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীন পরবর্তী ৫ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তির পরিমাণ ধার্য করা হয়। এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছেন এবং এ লক্ষ্যে ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ভারত সরকার ২০২২-২৩ সাল থেকে আরও ৫ বছরের জন্য বৃত্তি প্রকল্পটি নবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন উপবৃত্তি নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ নেই
চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের মোট ১ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থী (৫০১ জন উচ্চমাধ্যমিক ও ৯৯৬ জন স্নাতক পর্যায়ের) এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের সব এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করেছে। ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির সমপরিমাণ টাকা সরাসরি জমা হবে।