জার্মানিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে ৩৪ শতাংশ
বর্তমানে পড়াশোনা করছেন আড়াই হাজার
- শিউলি রহমান
- প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৩৩ PM , আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৯ PM
উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশের আড়াই হাজার শিক্ষার্থী বর্তমানে জামার্নির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন। কেবল ২০১৮ সালেই দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির ‘নো টিউশন ফি’ নীতিমালার জন্য শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করতে বেশি পছন্দ করে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১৯ সালে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাক্তন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ডাড বাংলাদেশ এবং জার্মান দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে গত শনিবার ‘অ্যালামনাই সন্ধ্যা’য় অংশ নেয়া অতিথিরা এমন মত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানকে বেছে নেওয়ার মতো একটি বড় কারণ হলো এখানে কোনো ‘টিউশন ফি’র প্রয়োজন হয় না।
পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার এবং বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া টিউশন-মুক্ত নীতিমালার সাথে আরো অনেক কিছুই পাচ্ছেন তারা।
শিক্ষাকে ‘পাবলিক গুড’ (যেখানে সবার অধিকার থাকে) উল্লেখ করে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, মূলত গ্রাজুয়েটদের মাধ্যমেই সমাজের কল্যাণ সাধিত হয়। আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষায় সকলের অধিকার রয়েছে। আর তাই জার্মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসব শিক্ষার্থীর কাছে কেনো ফি দাবি করে না।
এ সময় ডাড বাংলাদেশের তথ্য ও অফিস ব্যবস্থাপক রুমানা কবির জানান, বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। ২০১৮ সালে জার্মান প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০১৯ সালেই মোট ১৫ জন ছাত্রকে ডাড বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডাড বৃত্তির ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আইইএলটিএস পরীক্ষায় ‘ব্যান্ড স্কোর’ ৬ অর্জন করতে হবে।
ডাড বাংলাদেশের প্রতিনিধি খোন্দকার হায়দার বলেন, ডাড’এর মতো আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিদেশী শিক্ষার্থীদের জার্মান স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি দিক-নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথমে শিক্ষার্থীদেরকে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে আবেদনের জন্য তারা যোগ্য কিনা। সাধারণত শিক্ষার্থীরা সরাসরি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে। প্রথমে তারা তাদের পছন্দের বিষয়গুলোতে পড়ার জন্য আবেদন করবে এবং তারপরে তারা বৃত্তির জন্য আবেদন করবে।
অন্য একজন দূত নাহিদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ডাড’এর ওয়েবসাইটে ৯০০টিরও বেশি প্রোগ্রামের লিঙ্ক আছে। এর মধ্য থেকে শিক্ষার্থীরা কেবল তাদের জন্য সঠিক প্রোগ্রামের সন্ধান করবে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জার্মানিতে আগের তুলনায় বাংলাদেশীদের মধ্যে শিক্ষার্থীর হার ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ২০১৯ সালের প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির প্রবণতা এবং প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে ডাড বাংলাদেশ।
আরো পড়ুন: