স্নাতক শেষের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ পেলেন সিকৃবির মামুন
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২১ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ PM
স্নাতকে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন হৃদয়। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও ফ্রান্সের মন্টপেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথ বিষয়ে পিএইচডি করার অফার লেটার পেয়েছেন।
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন হৃদয় বর্তমানে সিকৃবির মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। গবেষণার প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক থাকায় স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে যুক্ত হন গবেষণায়। রপ্ত করেন গবেষণা কাজের প্রক্রিয়া ও গবেষণাপত্র প্রকাশের নানান দক্ষতা। নিজেকে আরও শাণিত করতে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা।
এখন পর্যন্ত তিনি স্পেন, মালয়শিয়া, চীন, মরক্কো, ইউকে, পাকিস্তান, পর্তুগাল ও ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে তার ৮টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৪টি গবেষণাপত্র শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে এবার রবি শিক্ষার্থীদের জনসংযোগ
মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন হৃদয় বলেন, ‘আমি প্রথম বর্ষ থেকে গবেষণায় যুক্ত হয়েছি। আমার শুরুর দিকে জার্নিটা সহজ ছিল না। তবে গবেষণাপত্রের ধরন সম্পর্কে জানা, বিভিন্ন অ্যানালাইটিক্যাল সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো দক্ষতা অর্জন, নিয়মিত লিটারেচার নোবেল পড়ে গবেষণায় নিজেকে এগিয়ে নিতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা এ ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিনা মূল্যে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার অফার লেটার পেয়েছি। বর্তমানে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে মাস্টার্স ও পিএইচডির কোলাবোরেশন গ্রুপে কাজ করছি। এ ছাড়া ইউআইটি দ্য আরটিক ইউনিভার্সিটি অব নরওয়ে থেকে শক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে অধ্যাপক ড. কায়ারা বর্ডিনের তত্ত্বাবধানে থিসিস করছি। আমার স্বপ্ন একাডেমিক পড়াশোনা ভালো রেখে এবং আরও ভালো ল্যাবে প্রফেসরদের সঙ্গে কাজ করে ইন্ডাস্ট্রিতে জব করা।’
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, দেখুন তালিকা
মামুনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, ‘তার এ সাফল্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। আমরা চেষ্টা করব সে যেন সঠিক সময়ে ডিগ্রি শেষ করে বাইরে পড়তে যেতে পারে। তার এই সাফল্য অনুষদের অন্য শিক্ষার্থীদেরও অনুপ্রাণিত করবে। অন্য শিক্ষার্থীরা যারা বাইরে পড়াশোনা ও গবেষণায় যেতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য সব সময় আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’