যৌবনকাল: নিয়ামত না পরীক্ষা?
- মোহাম্মদ আলী হাসান
- প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৭ PM , আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৬ PM
ক্ষণস্থায়ী মানবজীবনের যাত্রাপথে এমন কিছু সময় আছে যার সঠিক ব্যবহারে রচিত হয় ইতিহাসের পথ পরিক্রমা, গড়ে ওঠে একটি জাতি, ব্যক্তি জীবনে উদিত হয় একটি সফল মানব জীবনের প্রদীপ্ত সূর্য। সেই সময়ের নাম— যৌবনকাল। এটি এমন এক বসন্ত ঋতু, যখন মন-মনন থাকে স্বপ্নময়, দেহে থাকে অফুরন্ত শক্তি, চিন্তায় থাকে উচ্ছ্বাস- যেখানে হৃদয়ে জাগে আশার সূর্যোদয়, মানসপটে উড়ে আদর্শের পাখি, আর কর্মে থাকে সাহস ও উদ্যমের ঝলক।
ইসলামী দৃষ্টিতে এই যৌবন কেবল জীবনের এক সাধারণ পর্ব নয়; এটি এক মহান নেয়ামত, আবার এক গুরু দায়িত্ব ও কঠিন পরীক্ষা। বস্তুত মানবজীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও কর্মক্ষম সময় হলো যৌবনকাল। শান্তির অমীয় সুধা মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন দুর্বল অবস্থা থেকে, তারপর দুর্বলতার পর দিয়েছেন শক্তি, তারপর শক্তির পর দিয়েছেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য।" (সূরা আর-রূম, আয়াত: ৫৪)
এই আয়াতে মহান আল্লাহ মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন- শিশুকাল দুর্বলতার, বার্ধক্য ক্লান্তির, আর যৌবন হলো সেই মধ্যবর্তী সময়, যখন মানুষকে দেওয়া হয় শক্তি, সাহস, সিদ্ধান্ত ও আত্মপ্রকাশের সক্ষমতা। এই শক্তির অপব্যবহার মানুষকে ধ্বংসে ঠেলে দেয়, আর এর সঠিক ব্যবহার তাকে উন্নতির চূড়ায় পৌঁছে দেয়।
যৌবন: নিয়ামতের স্বরূপ
যৌবন এমন এক নেয়ামত, যা না শরীরচর্চার প্রাণশক্তি, না সৌন্দর্যের ঝলক, বরং এটি এক আধ্যাত্মিক সুযোগ- নিজেকে চিনতে শেখা, স্রষ্টাকে খুঁজে পাওয়া এবং সত্যের পথে নিজেকে নিবেদিত করার প্রকৃষ্ট সময়। নবী ইব্রাহীম (আঃ) তরুণ বয়সেই মূর্তি ভেঙে তাওহীদের আহ্বান জানান। আসহাবে কাহফ ছিলেন এমন একদল তরুণ, যারা কুফরি সমাজ ত্যাগ করে ঈমান রক্ষার জন্য গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদের কাহিনি আল্লাহ তা'য়ালা নিজেই কুরআনে বর্ণনা করেছেন— আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "তারা ছিল কিছু তরুণ, যারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছিল, আর আমি তাদের সৎপথে আরও দৃঢ় করেছি।" (সূরা আল-কাহফ, আয়াত: ১৩)
আসহাবে কাহফের এই কাহিনি যৌবনের বিশ্বাস, আদর্শ ও সাহসের এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। তারা বিলাসী রাজদরবারের প্রলোভন ত্যাগ করে গুহার অন্ধকারে সত্যের অমীয় সুধা ও ঈমান নামক প্রজ্বলিত আলোর আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইতিহাস আজও সেই ত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
আরও পড়ুন : আল্লাহর নিকট যে পাঁচটি জিনিস সবসময় প্রার্থনা করা উচিৎ
নবী-রাসূলদের জীবনে যৌবনের ভূমিকা
প্রায় সব নবীই (আঃ) তাঁদের দাওয়াতের সূচনা করেছেন যৌবনে। ইব্রাহিম (আঃ) মূর্তিপূজার সমাজে দাঁড়িয়ে একাই বলেছিলেন, "আমি তোমাদের উপাস্যদের ঘৃণা করি।" (সূরা আশ-শুআরা, আয়াত: ৭৭) নূহ (আঃ) নবুয়তের সময় থেকে শত শত বছর ধরে ত্যাগ, ধৈর্য ও আহ্বানের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন— যৌবনের আদর্শ যদি বার্ধক্য পর্যন্ত টিকে থাকে, তবে জীবন হয় সাফল্যমণ্ডিত।
যৌবনের এমন উদাহরণ আমরা পাই হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর জীবনেও। প্রাসাদের প্রলোভনে তিনি যখন পাপের আহ্বান পেলেন, তখন বলেছিলেন, "আমি আল্লাহর আশ্রয় চাই, নিশ্চয়ই তিনি আমার প্রতিপালক।" (সূরা ইউসুফ, আয়াত: ২৩)
পাপের অতল গহব্বরে নিমজ্জিত বর্তমান যুব সমাজের প্রতি নিবেদন, এই উত্তর শুধু এক নবীর নয়, বরং প্রতিটি আল্লাহভীরু তরুণের কণ্ঠস্বর হওয়া উচিত। কেননা, যৌবন সত্যিই এক মহামূল্যবান নি'য়ামত, তবে এটি এক কঠিন পরীক্ষা-ও। আল্লাহ আমাদের এই সময় দিয়েছেন যেন আমরা সৎপথে চলি, মানবতার সেবা করি এবং জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করি পরকালের লক্ষ্যপানে। তাই যৌবন যেন হারাম কাজে নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পবিত্র প্রয়াসে ব্যয় হয়। কেননা আজকের যৌবনই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর আজকের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে চিরস্থায়ী গন্তব্যের পরিণতি।
রাসূল ﷺ ও তরুণ প্রজন্ম
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর দাওয়াতি জীবনের শুরু থেকেই তরুণদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদান করেন। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় প্রথম সারির সাহাবিগণ অধিকাংশই ছিলেন তরুণ। নববী যুগের তরুণ সাহাবীগণ ইসলামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তাদের ঈমান, ত্যাগ ও সাহসিকতার জন্য। হযরত আলী (রাঃ) শৈশবেই ইসলাম গ্রহণ করে নবী ﷺ–এর বিছানায় শুয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করেছিলেন; মুসআব ইবনে উমাইর (রাঃ) বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করে মদীনায় প্রথম দাওয়াতি প্রতিনিধি হিসেবে ইসলাম প্রচারে অনন্য ভূমিকা রাখেন; উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) মাত্র আঠারো বছর বয়সে নবীজির নির্দেশে মুসলিম সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন; আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) অল্প বয়সেই কুরআনের ব্যাখ্যাকারক ও ইসলামী জ্ঞানের ভাণ্ডারে পরিণত হন; আর হানযালা, মুআয ইবনে আফরা (রাঃ)-এর মতো বহু তরুণ শাহাদাতের অমীয় সুধা পানের মাধ্যমে নিজেদের গৌরবান্বিত করেছেন। তাঁরা প্রমাণ করেছেন— যৌবন যদি ঈমানের দীপ্তিতে আলোকিত হয়, তবে বয়স নয়, আদর্শই মানুষকে ইতিহাসে অমর করে তোলে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "সাত শ্রেণির মানুষকে মহান আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন... তাদের এক শ্রেণি হলো সেই যুবক, যে যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে অতিবাহিত করেছে।" (বুখারী ও মুসলিম)
আরেক হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ সতর্ক করে দিয়েছেন- “কিয়ামতের দিন আদমসন্তানের পা নড়বে না, যতক্ষণ না তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে... তার যৌবন কিসে ব্যয় করল।” (তিরমিজি, হাদীস: ২৪১৬)
এই দু'টি হাদীসে মুদ্রার দু'পিঠের মত যৌবনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে- এটি হতে পারে মহান আল্লাহর রহমতের ছায়া, আবার হতে পারে বিচার দিবসের কঠিন পরিস্থিতির কারণ।
মোহাম্মদ ইবনে কাসিম: কিশোর বীরের ঈমানি দৃষ্টান্ত
ইতিহাসে এমন তরুণের দৃষ্টান্ত বিরল, যিনি কেবল ১৭ বছর বয়সে ইসলামের পতাকা উড়িয়ে দেন সিন্ধুর তীরে। মোহাম্মদ ইবনে কাসেম (রহঃ) ছিলেন হজ্জাজ ইবনে ইউসুফের জামাতা ও একজন সাহসী তরুণ সেনাপতি। সিন্ধুর শাসক দাহিরের কর্তৃত্বাধীন অঞ্চলে কতিপয় মুসলিম নারী-পুরুষকে অন্যায়ভাবে বন্দি করা হলে, ইবনে কাসিম সেই অপমানের জবাব দিতে বের হন। তিনি আল্লাহর নাম নিয়ে যাত্রা করেন, হাতে তলোয়ার আর হৃদয়ে ছিল দীপ্ত ঈমান। যুদ্ধে জয়ী হয়ে তিনি শুধু রাষ্ট্র জয় করেননি; মানুষের হৃদয়ও জয় করেছিলেন তাঁর ন্যায়বিচার, দয়া ও চরিত্রের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন : জাল নথিপত্র ও মিথ্যা ফটোকার্ড তৈরি: শরিয়া ও নৈতিকতা
তারিক ইবনে জিয়াদ: তাওয়াক্কুলের আগুন
আরেক তরুণ বীর তারিক ইবনে জিয়াদ, যিনি উত্তর আফ্রিকা থেকে ইসলামের পতাকা নিয়ে গিয়েছিলেন ইউরোপের হৃদয়ে- স্পেন পর্যন্ত। তিনি যখন জিব্রাল্টারে পৌঁছালেন, সৈন্যরা ভয় পেল সামনে বিশাল প্রতিপক্ষের শক্তি দেখে। তখন তারিক জাহাজে আগুন লাগিয়ে দিলেন এবং বললেন তাঁর বিখ্যাত উক্তি- "সামনে শত্রু, পেছনে সমুদ্র! বেঁচে থাকতে চাইলে যুদ্ধ করো, কারণ আল্লাহর সাহায্য তাদের জন্য, যারা দৃঢ় বিশ্বাস রাখে।" এই তরুণ সেনাপতির দৃঢ় ঈমান, তাওয়াক্কুল ও আত্মত্যাগ ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছিলেন- যে তরুণ আল্লাহর উপর নির্ভর করে, তার সাহস পর্বতের চেয়েও দৃঢ়।
বস্তুত: মোহাম্মদ ইবনে কাসেম ও তারিক ইবনে জিয়াদ- দু’জনই ছিলেন বয়সে তরুণ। কিন্তু তাঁদের হৃদয়ে ছিল বার্ধক্যের প্রজ্ঞা, নবীদের আদর্শ ও আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাঁদের জীবন প্রমাণ করে, যৌবন শুধু বয়সের নয়, বিশ্বাসের নামও হতে পারে।
যৌবন ও আত্মসংযম
ইসলাম যৌবনকে আনন্দহীন জীবন বানায়নি; বরং আনন্দকে নিয়ন্ত্রণে এনে পরিশুদ্ধ করেছে। ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন, "যৌবন হলো এমন এক আগুন, যা জ্ঞানের পানি ও তাকওয়ার হাওয়া ছাড়া নিভে না।" তাই মুসলিম যুবকদের কর্তব্য- হারাম আনন্দে নয়, বরং হালাল খুশির পথে থাকা। যেমন খেলাধুলা, শিক্ষায় মনোযোগ, সমাজসেবা, কুরআন-সুন্নাহ প্রদর্শিত শিল্প-সংস্কৃতি, সবকিছুই হতে পারে ইবাদতের অংশ, যদি উদ্দেশ্য হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি।
আধুনিক যুগের বাস্তবতায় তরুণদের করণীয়
আজকের যুগে যৌবনের সবচেয়ে বড় সংকট হলো উদ্দেশ্যহীনতা ও আত্মবিস্মৃতি। প্রযুক্তির প্রলোভন, ভোগবাদী জীবনধারা, সামাজিক মিডিয়ার বিভ্রান্তি ও নৈতিক অবক্ষয়ের স্রোতে তরুণরা প্রায়ই হারিয়ে ফেলছে জীবনের দিকনির্দেশনা। অথচ ইসলাম যৌবনকে দিয়েছে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও মানবতার সেবার শ্রেষ্ঠ সুযোগ হিসেবে। এ যুগে একজন সচেতন মুসলিম তরুণের উচিত তার যৌবনকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যা তাকে দুনিয়া ও আখিরাত- উভয়ের সফলতার পথে পরিচালিত করবে।
প্রথমত, তরুণকে সময়ের মূল্য বুঝতে হবে। আল্লাহর শপথ- "সময়ের কসম, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে।" (সূরা আল-আসর, আয়াত: ১–২)। সময়ই জীবনের পুঁজি; এটি হারানো মানেই সব হারানো। পরিকল্পিত জীবন, নিয়মিত ইবাদত ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সময়কে বরকতময় করা তরুণের প্রথম কর্তব্য।
দ্বিতীয়ত, নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামী জ্ঞানচর্চাকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানাতে হবে। নামাজ আত্মাকে পবিত্র করে, কুরআন মননকে জাগ্রত রাখে, আর দ্বীনের জ্ঞান মানুষকে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য বুঝতে শেখায়। প্রতিদিন কিছু সময় নির্ধারণ করে ইলমে দ্বীন শেখা, ভালো বই পড়া এবং আলেমদের সংস্পর্শে থাকা যুবকদের নৈতিক ও আত্মিক বিকাশের অনন্য চাবিকাঠি।
তৃতীয়ত, হারাম সম্পর্ক, অহংকার, অলসতা ও অপচয়ের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "দুটি নিয়ামতের বিষয়ে অধিকাংশ মানুষ ধোঁকায় থাকে- অবসর ও সুস্থতা।" (বুখারী)। তাই তরুণ বয়সের উচ্ছ্বাস যেন পাপের দিকে নয়, সৎকাজের দিকে প্রবাহিত হয়।
চতুর্থত, সমাজ ও মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা। যৌবনের শক্তি কেবল নিজের সুখের জন্য নয়, বরং অন্যের কল্যাণের জন্য ব্যয় করলেই তা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হয়। দরিদ্রের পাশে দাঁড়ানো, অনাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, শিক্ষা ও সৎ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করা- এগুলোই ইসলামি তারুণ্যের প্রকৃত পরিচয়।
সবশেষে, আল্লাহর পথে আদর্শিক সাহস নিয়ে দাঁড়ানো। নবী ইব্রাহিম (আঃ), ইউসুফ (আঃ) ও আসহাবে কাহফের মতো যুবকরা সমাজের বিরোধিতা সত্ত্বেও সত্যের পক্ষে অটল ছিলেন। একজন আধুনিক মুসলিম যুবকদেরও উচিত- জনপ্রিয়তার মোহ নয়, বরং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে জীবনের মূল লক্ষ্য বানানো।
উপসংহার
যৌবন এক ক্ষণস্থায়ী ঋতু, কিন্তু এর ফসল থাকে চিরস্থায়ী। এটি আল্লাহর দেওয়া অত্যন্ত মূল্যবান এক আমানত। এই আমানত যদি নষ্ট হয়, সারা জীবন অনুতাপে কাটাতে হবে; পক্ষান্তরে যদি এ আমানত আল্লাহর পথে ব্যয় হয়, তবেই এটি পরিণত হবে চিরস্থায়ী জান্নাতের পাথেয়। এভাবে যুবকদের প্রাণশক্তি যদি ইমানের আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হয়, তবেই সমাজে আসবে শান্তি, ন্যায় ও পরিবর্তনের ফল্গুধারা। তাই হে তরুণ, স্মরণ রাখো-
আজকের যৌবন যদি আল্লাহর পথে চলে, তবে কালকের বার্ধক্য হবে শান্তির, আর পরকাল হবে সাফল্যের। এই সময়টিই তোমার ভবিষ্যৎ, তোমার পরিচয়, তোমার নিয়তি। যৌবন হলো আল্লাহর এক বিশেষ আমানত— এর মর্যাদা রক্ষা করো।
লেখক: মোহাম্মদ আলী হাসান, প্রভাষক, আল-ফিকহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা