এবার আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সেই বিজ্ঞানীর

ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী
ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী  © টিডিসি ফটো

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও পরিবেশবিজ্ঞানী ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীকে প্রাণনাশের অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন বিভাগটির প্রধান ড. আশরাফ। 

বুধবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ২৬ পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগ জমা পরে। যার রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত ১৩ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিভাগটির একাডেমিক কমিটির সভা শুরুর পূর্বে বিভাগটির তিন সহকারী অধ্যাপক মোঃ নকিবুল হাসান খান, মোঃ রাকিবুল হাসান ও মোঃ আলিম মিয়া ৩ ঘন্টা ধরে তালাবদ্ধ করে রাখে বিভাগীয় প্রধান ড. আশরাফকে। এছাড়াও ড. আশরাফ এই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তালা লাগানোর আগে বিভিন্ন রকমের হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও তুলেন। 

আরও পড়ুন: যবিপ্রবির পিইএসএস বিভাগের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ঘটনার দিনের ৪ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ডও জমা হয়েছে লিখিত অভিযোগ পত্রে। যেখানে উপাচার্য নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতেও শোনা গেছে বিভাগটির শিক্ষক মোঃ নকিবুল হাসান খানকে। এছাড়া জোর করে সভা শুরুর জন্যেও হুমকি দিতেও শোনা যায় রেকর্ডটিতে।

তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বিভাগীয় প্রধান ড. আশরাফের কক্ষে তালা লাগিয়ে চলে যান ৩ শিক্ষক। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা অডিও রেকর্ড এবং বিভাগটির এক কর্মাচারীর বক্তব্য থেকেও পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভাগের সভার গোপন নথিও সভার আগেই কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে চলে যায়।
 
এদিকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়ে অভিযোগ জমা দেয়ার বিষয়ে ড. আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, ১৩ জুন একাডেমিক কমিটির সভায় আমার সঙ্গে যে বাজে ব্যবহার করেছে তা বর্ণনাতীত। রুমে তালা লাগিয়ে এবং বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে আমার উপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। আমি এর বিচার চেয়েছি। সকল তথ্য প্রমাণ আমি জমা দিয়েছি। বিভাগের স্বার্থে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হওয়া জরুরী। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এ বিষয়ে বলেন, অভিযোগ দেখে বিচার বিশ্লেষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

তবে বিভাগের দুই শিক্ষকের মন্তব্য জানতে চাইলে মোঃ রাকিবুল হাসান ও মোঃ আলিম মিয়া কোন মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে বিভাগের আরেক শিক্ষক মোঃ নকিবুল হাসান খান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

এদিকে শিক্ষকদের কোন্দলে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শেষ বর্ষের ফলাফলও আটকে রয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়,  ইএসই-৪২০৭: ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজি কোর্সের নম্বরপ্রত্র জমা না হওয়ায় ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। কোর্সটির তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছেন বিভাগটির শিক্ষক এফ কে সায়মা তানজিয়া এবং বহিস্থ শিক্ষক নকিবুল হাসান খান।


সর্বশেষ সংবাদ