১৭ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বড় হয়েছে পরিসর
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২২, ০৮:২৬ AM , আপডেট: ২৮ মে ২০২২, ১১:০১ AM
আজ শনিবার (২৮ মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৬ বছর পেরিয়ে ১৭তম বর্ষে পদার্পণ করেছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। বৃহত্তর কুমিল্লার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠটি প্রাকৃতিক এক অপরূপ সৌন্দর্য্যের আবাসস্থল কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের সালমানপুর গ্রামে অবস্থিত।
দিবসটিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা ও এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
২০০৬ সালের ২৮ মে মাত্র ৫০ একর নিয়ে দৃষ্টিনন্দন লালমাই পাহাড়ে প্রাচীন সভ্যতার নির্দশন শালবন বিহারের কোল ঘেঁষে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় অন্যতম এক উচ্চশিক্ষার আবাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলের এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠটি মাত্র সাতটি বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক ও ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে সাত হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। জ্ঞান বিতরণ করছেন আড়াইশোরও বেশি শিক্ষক। ২০১৮ সালের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়নের ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্প পাস হয়। যেখানে নতুন করে আরও ২০০ একর জমির ওপরে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ চলমান।
আরো পড়ুন: মেডিকেলের মত বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করে দেবে গুচ্ছ কমিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৮টি নীল বাস এবং বিআরটিসির ১০টি ভাড়া বাসসহ সর্বমোট ১৮টি বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য রয়েছে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি আবাসিক হল রয়েছে। যেখানে ছাত্রদের জন্য তিনটি, ছাত্রীদের জন্য রয়েছে একটি আবাসিক হল। এ ছাড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে একটি ডরমেটরি। একটি ছাত্রী হল এবং শিক্ষকদের জন্য একটি ডরমিটরি ও একটি গেস্টহাউজ নির্মাণাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার জন্য আজকে সকাল ৯টায় কুমিল্লা কান্দিরপাড় হতে ছয়টি বাস ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে এবং অনুষ্ঠান শেষে ফিরে যাবে।