শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় বাস চালক আটক, সহকারী পলাতক
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৬ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৫:৩৬ PM
বাসে হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় মারধরের শিকার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাস চালক ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে। তবে চালকের সহকারি ফারুক এখনো পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মারধরের শিকার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাস চালককে আটক করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক বাস চালকের নাম ইয়াসিন। তবে চালকের সহকারি পলাতক রয়েছেন।
এর আগে হাফভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের খবরে মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের তিনিটি বাস আটকে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটায় মিরপুর রোড থেকে প্রথমে ১টি বাস আটক করে নায়েমের গলিতে নিয়ে আসেন তারা। এরপর কলেজের সামনে আরো দুটি বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধর
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম শিমুল শিকারি। তিনি ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় তাঁর উপর চড়াও হন মৌমিতা বাসের সহকারি। অভিযুক্ত বাসের নম্বর নম্বর ঢাকা মেট্রো ব ১১৮৮৩৫।
আহত শিমুলের সাথে থাকা সহপাঠী আরিফ হাসান বলেন, শিমুলকে মারধরের পর সে স্থানীয় পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেয়। সে মাথায়, পায়ে ও গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। খবর পেয়ে আমি এসে প্রথমে নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাই। সিটিস্ক্যান করানোর পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ করানো হয়৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমরা এখন মোহাম্মদপুর থানায় আছি৷ অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে৷
আরও পড়ুন: বাংলাকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই
শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা বাসের ব্যাপারে নিউমার্কেট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাহেব আলী বলেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মারধরের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে তারা ব্যবস্থা নিবেন। আমরা শিক্ষার্থীদের আটক করা ৩ টি বাস নিউমার্কেট থানায় নিয়ে যাচ্ছি। মোহাম্মদপুর থানায় আহত শিক্ষার্থী ও মালিকপক্ষের বৈঠকের পরে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।