করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি
সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই নেবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৫৬ PM , আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:৪৪ PM
দেশে করোনার প্রকোপ আবারও বেড়েছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত একদিনে (মঙ্গলবার) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে এক লাফে বেড়ে ১১৪০ এ পৌঁছে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রশাসনিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বলছে, করোনার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেশের অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ইউজিসির কাছে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের দিকনির্দেশনা আসেনি।
জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ইউজিসি সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত ইউজিসি থেকে দেওয়া হবে না। তবে এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা সরকারের কাছে আসলে আমরা তা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবো। তাছাড়া সশরীরে ক্লাস-ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই নেবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোন জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাস বন্ধ করতে চাইলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কিংবা একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে জরুরি সভা ডেকে এই নেওয়া হয়ে থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি। যেহেতু আমাদের হলগুলো খোলা রয়েছে, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ বিবেচনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে চলমান পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে, পরীক্ষার হল বৃদ্ধি ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে গ্রুপ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বড় পরিসরে আইসোলেশান করার কথাও ভাবা হচ্ছে। আপাতত, প্রতি হলে কমপক্ষে চারজন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে রেফারেন্স নিয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০০ টাকায় করোনা পরীক্ষা করা যাবে বলেও জানান তিনি।