পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন: সাত কলেজের ৫২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০৪:২৩ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১, ০৪:২৩ PM
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের ৫২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ৮ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ৪৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত ৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে সরকারি বাঙলা কলেজের ৫ জন ও ঢাকা কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে বহিস্কৃত ৪৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইডেন মহিলা কলেজের ১২ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১২ জন, সরকারি বাঙলা কলেজের ৯ জন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ৬ জন, কবি নজরুল সরকারি কলেজের ৪ জন ও ঢাকা কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
অস্থায়ী বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করা চূড়ান্ত পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে শাস্তি হিসেবে আরও ১/২/৩ বছর পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেননা তারা।
এছাড়া, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জালিয়াতি ও অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ২ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে ও পরীক্ষার অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ( সাত কলেজ ব্যতীত) অন্যান্য কলেজের ২০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট৷
জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভার সুপারিশ অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তালিকা এ সপ্তাহের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কলেজে পাঠাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষায় সুষ্ঠতা এবং স্পষ্টতা বজায় থাকা জরুরী উল্লেখ করে সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শৃঙ্খলা পরিষদের সভার পরামর্শ অনুযায়ী সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা শাস্তি কমানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট যথাযথ পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় সেটা বিবেচনা করবে।
প্রসঙ্গত, অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে কোন শিক্ষার্থী উপাচার্য বরাবর শাস্তি হ্রাসের আবেদন করলে উপাচার্য বিশেষ বিবেচনায় শাস্তি এক বছর হ্রাস করতে পারবেন।