অনির্দিষ্টকালের বন্ধ নয়, শুধু পরীক্ষা স্থগিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১০ AM , আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১, ০৯:১৪ AM
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি, চলমান পরিস্থিতিতে কেবল পরীক্ষাগুলো সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে- এমন তথ্য জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন ঘোষণার কিছু পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই দাবি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ আলী স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যালোচনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা নিরসনে ফারহানা ইয়াসমিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়নি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
যদিও গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া চুল কাটার ঘটনা তদন্তে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির শিক্ষক লায়লা ফেরদৌস হিমেলও সিন্ডিকেট সভা শেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের কথা জানিয়েছিলেন।
তার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নতুন এ তথ্য জানানো হল।
উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন বিভাগটির চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এই ঘটনায় পরে বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে এই ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এরপর নানা মহল থেকে সমালোচনা শুরু হলে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন দায়িত্বে থাকা ৩টি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সেই সঙ্গে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।