৭ কলেজের পরীক্ষা

টিকা ছাড়া করোনার ঝুঁকি দেখছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা

টিকা ছাড়া করোনার ঝুঁকি দেখছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা
টিকা ছাড়া করোনার ঝুঁকি দেখছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা  © টিডিসি ফাইল ফটো

আর দুদিন পরেই ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের করোনা ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারন এখনো করোনাভাইরাসের টিকা পাননি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। যদিও কলেজ প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্যবিধিসহ সকল নিয়ম-কানুন মেনেই পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে পরীক্ষার হলে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও আবাসিক হল বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের কতটুকু সুরক্ষা রাখতে পারবে এটিই এখন বড় প্রশ্ন জনস্বাস্থ্যবিদদের।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা টিকা পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না। কারন তারা চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না, মানসিক হতাশায় ভুগছে। এজন্য আমরা পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যদি সম্ভব হয় শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো যেতে পারে। এতে যাদের করোনা পজিটিভ আসবে তাদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

সাত কলেজের এসব শিক্ষার্থীর টিকার তালিকা থেকে বাদ পড়ার কোনো যুক্তি নেই উল্লেখ করে জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, এসব শিক্ষার্থীর টিকা আরও আগেই দিয়ে দিতে পারতাম। সরকার যেহেতু শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানগুলো কেন বাদ যাবে। বাদ যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এর মানে হলো ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। এটা অপরিকল্পিত একটা সিদ্ধান্ত। মজুত কম থাকায় টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গেলে দুই বছরেও তা সম্ভব নয় বলে মনে করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মো. মুশতাক হোসেন।


সর্বশেষ সংবাদ