দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের

  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেনো মিথ্যা আশ্বাসেরই অপর এক নাম! একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যেসকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা তার কোনটাই ঠিকমতো পাচ্ছেনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমনটা অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একমাত্র ছাত্রী হলের কাজ ২০১১ সালে শুরু হলেও সেই কাজ এখনো শেষ হয়নি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জবি শাখার আহবায়ক মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, আমরা ২০১৬ সালে হলের দাবিতে আন্দোলন করার পর ছাত্রী হলের কাজ কিছুটা ত্বরান্বিত করা হয়।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তা ছিলো কেবলই লোক দেখানো কারণ তার কিছুদিন পরেই আবারো কচ্ছপ গতিতে কাজ চলতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন গিনেস বইয়ে আমাদের নাম উঠে যাবে!

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানো ও মান উন্নয়নের জন্যে শিক্ষার্থীরা বহুদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে। কিছুদিন আগেও শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে জবি ভিসি খাবারের দাম কমানোর আশ্বাস দেন এবং প্রতিটা বিভাগ থেকে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু গত সিন্ডিকেট সভায় তা নিয়ে এ বিষয়ে কোন সমাধান আসেনি। তাই শিক্ষার্থীরা মনে করেন এই আশ্বাসও ছিলো কেবলই একটা মিথ্যা আশ্বাস!

এছাড়াও গত সিন্ডিকেট সভায় জকসু আইনের খসড়া উপস্থাপন করার আশ্বাস দিলেও তা নিয়ে উক্ত সভায় কোন আলোচনাই করা হয়নি! শিক্ষার্থীদেরকে বারবার আশ্বাস দিয়েও তা পূীণ না করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ।প্রয়োজনে আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, জকসু নির্বাচন, ক্যান্টিনে খাবারের দাম কমানো ও মান উন্নয়ন,বাসের ডাবল শিফট অতিদ্রুত চালু করা এবং শিক্ষক নিয়োগে জবি শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানাই আমরা। দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো আমরা।


সর্বশেষ সংবাদ