শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ PM
প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ করেছেন ঢাকার পাঁচটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলিং মডেলের ভিত্তিতে প্রকাশিত অধ্যাদেশের খসড়া ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দাবি করে স্কুলিং মডেল বাতিলের দাবিতে এ অবরোধ করেন তারা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। পরে প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধের পর সড়ক ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা। এতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টার পর ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড়ে জড়ো হন। পরে সরকারি বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগে পৌঁছে মোড় অবরোধ করেন। সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিয়ে স্কুলিং মডেল বাতিল এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখার দাবি জানাতে থাকেন। অবরোধের কারণে এখন পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
এদিকে ৬ ডিসেম্বরের সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলন কর্তৃক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনির্ভাসিটির এক দফা দাবিতে আজ ৭ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাবের আহমেদ বলেন, ‘আমরা নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সাত কলেজের অবস্থা কী ভয়াবহ সেটা আমরা সবাই জানি। ঠিকমতো ক্লাস না করা, ক্লাসরুম সংকট, ল্যাব সংকট, পরীক্ষার খাতা অবমূল্যায়ন সহ নানা ধরনের সমস্যার জর্জরিত সাত কলেজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখনই এই সমাধানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তখন থেকেই অসাধু চক্রের একটি মহল এর বিরোধিতা করে যাচ্ছে। একেক সময় একেক পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে আমাদের। আমাদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। অধ্যাদেশ দিবে বলে এখনো দিচ্ছে না। আমরা চাই রাষ্ট্রপতি মহোদয় অতিসত্বর অধ্যাদেশ জারি করুক।’