সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৭ AM
প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শিক্ষার্থীরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছেন। একদিকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির স্কুলিং মডেলের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত অধ্যাদেশের খসড়া ও মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন ৫ কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারির দাবিতে শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেন সাত কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারে বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। অন্যদিকে বেলা ১১টায় শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন স্নাতকের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, আজ সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অনুসরণে কোন ঘোষণা ছাড়াই শিক্ষা ভবনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন উচ্চমাধ্যমিকের এই পাঁচ কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা ভবন সংলগ্ন এলাকায় দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন জুম মিটিংয়ে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডে ঢাকা কলেজ শিক্ষক রফিকুল আলমের শিক্ষকদের দাবি আদায়ে ‘ছাত্রদের দিয়ে মব সৃষ্টির’ পরিকল্পনার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের অর্গানাইজিং উইং জানায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর আগে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে আগেই এই পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচির তথ্য জানানো হয়েছিল।
অভিযানকারীরা বলেন, সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রণীত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে নানা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে সকল অংশীজনের মতামত গ্রহণ করেছে। এরপরও খসড়া চূড়ান্ত করতে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর এবং ১৭ নভেম্বর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই-সুশীল সমাজের সাথে তিনটি সভা আয়োজন করা হয়।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি হয়নি। এর ফলে প্রস্তাবিত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীসহ চলমান সকল শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পরিচয় সংকট ও অ্যাকাডেমিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।