৪৭-এর পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারিভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম. এ. বারীকে সভাপতি করে সাত সদস্যবিশিষ্ট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি’ গঠন করা হয়। একই বছর ৩১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল মক্কায় ওআইসি’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামী শিক্ষা সম্মেলনে এশিয়ার তিনটি মুসলমান রাষ্ট্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হয়।

১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমান সরকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ড. এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করেন। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৮০ (৩৭) জাতীয় সংসদে পাস হয়। ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্প পরিচালক ড. এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেয়া হয়। এভাবেই দীর্ঘ ৪৬ টি বছর পেরিয়ে আজ ৪৭ বছরে পৌঁছে গেছে স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। 

পরবর্তীতে ১৯৮২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আবাসিক ছাত্র হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৫ সালের মে মাসে ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদে চারটি বিভাগে মোট তিনশত ছাত্র ভর্তি করা হয়। ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। তখন শিক্ষক সংখ্যা ছিলো আট জন। ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির এক আদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মূল ক্যাম্পাসে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের উদ্বোধন করা হয়।  

আগস্ট, ২০২৫ পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির ৯টি অনুষদের ৩৬টি বিভাগে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৯৭, যাদের মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৩১২ এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৫৮৫ জন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৮। বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ জন; যাদের মধ্যে ছাত্র ১৫ জন, ছাত্রী ৩ জন। এ পর্যন্ত ২৮ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে ৪১১ জন শিক্ষক শিক্ষাদানে নিয়োজিত রয়েছেন।

 

এছাড়াও ৫০৩ জন কর্মকর্তা, ৮০ জন সহায়ক কর্মচারী এবং ১৪২ জন সাধারণ কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত ৭৪৯ জনকে পিএইচডি এবং ৮৫৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ১২৫ জন পিএইচডি এবং ১০২ জন এমফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. হাবিবুর রহমান ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান। বিশ্বের নামকরা প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিশ্বের শীর্ষ ২% বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নেন তারা। গবেষক ড. মিজানুর রহমান মাইক্রোবায়োলজি, এগ্রিকালচার প্লান্ট সায়েন্স, ইকোলজি, মৃত্তিকা বিজ্ঞান ফিল্ডে গবেষণা করছেন। তার বর্তমান মোট সাইটেশন ৩০৮৬। অন্যদিকে গবেষক ড. হাবিবুর রহমান বায়োইনফরমেটিং, মেশিন লার্নিং, এনজিএস অ্যানালাইসিস, ড্রাক ডিসকভারি নিয়ে কাজ করছেন। তার বর্তমান সাইটেশন ২৩৩৬।

শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে সহযোগিতা বিনিময়ের লক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এ বছরের ৬ থেকে ১১ জুলাই চীন সফরকালে হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, উচাং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং গুইলিন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় তিনটির সাথে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আদান-প্রদান, কারিকুলাম উন্নয়ন ও গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যৌথভাবে সেমিনার আয়োজন করা সম্ভব হবে। 

২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে যুক্তরাজ্যের মার্কফিল্ড ইনস্টিটিউট অব হায়ার এডুকেশনের সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষক-ছাত্র বিনিময় ও অ্যাকাডেমিক প্রকল্প বাস্তবায়নে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। এছাড়াও তুরস্কের ইগদির ইউনিভার্সিটি, চীনের সাউথইস্ট ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক থট (আইআইআইটি), দক্ষিণ কোরিয়ার সানগুক এডুকেশনাল ফাউন্ডেশনসহ বিশ কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সেশনজট নেই বললেই চলে। যেসব বিভাগে সেশনজট রয়েছে সেসব বিভাগ তা নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসটি নতুন ভবনে স্থানান্তরের কাজ অনেকাংশে সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে যথাসময়ে সার্টিফিকেট, মার্কশিট, ট্রান্সক্রিপ্ট সংগ্রহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তবে স্থানান্তর পুরোটা সম্পন্ন হলে সেবার মান আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্টরা। 

এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন ২৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে, দ্বিতীয় সমাবর্তন ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৯ সালে, তৃতীয় সমাবর্তন ২৮ মার্চ ২০০২ সালে এবং সর্বশেষ ৪র্থ সমাবর্তন ৭ জানুয়ারি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে থাকা ইবির আরও ৭ শিক্ষক বরখাস্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারসহ নানা সেমিনার-ওয়ার্কশপ নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) প্রশিক্ষণ কর্মশালা, 'আউটকাম বেসড্ এডুকেশন কারিকুলাম' বিষয়ক কর্মশালা ছাড়াও বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বই রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ২১৭ টি। এছাড়াও জার্নাল, ম্যাগাজিন এবং নিউজ পেপার এর সংখ্যা ১৯ হাজার ৫ শত ৯৩টি। মোট এঙ্গের মাধ্যমে অনলাইনে সাবস্ক্রাইবড ই-বুক এবং ই-জার্নাল পড়ার সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে সু-উজ্জ্বল করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. শামসুদ্দীন ২০০৪ সালে গ্রিসে অনুষ্ঠিত ২৮তম অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মো. আসাদুর রহমান (বর্তমানে ক্রীড়া উপ-পরিচালক), মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, ইসরাত জাহান, তামান্না আক্তার প্রমুখ। 

আইন বিভাগের ছাত্রী ফাহিমা খাতুন ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা, আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ সহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ দলে খেলছেন। এছাড়াও কমনওয়েলথ গেমসে, বিশ্ব হকি চ্যাম্পিয়নশীপ, এশিয়ান যুব গেমস, সাউথ এশিয়ান গেমস, এশিয়ান ভলিবল প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ৪জন ক্রীড়াবিদ খেলাধুলায় সর্বোচ্চ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী তামান্না আক্তার ১০০ মিটার হাডেলসে ৭বার জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করেন। বাংলা বিভাগের ছাত্র মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, বাংলাদেশ জাতীয় যুব ফুটবল দল ও জাতীয় ফুটবল দলের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আইন বিভাগের ছাত্র ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি বর্তমানে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ভলিবল প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি দীর্ঘদিন তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ভলিবল দলে কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। 

আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। অ্যাথলেট-এ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সাতবার এবং ছাত্রীরা আটবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ফুটবলে তিন বার, হ্যান্ডবলে (ছাত্র) তিন বার, ভলিবল (ছাত্র)-এ ১৩ বার এবং বাস্কেটবলে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়াও ব্যাডমিন্টনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২০২৪ সালে এবং ছাত্রীরা ২০২৭ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে। বর্তমানে মোট ১১টি ক্রীড়া ডিসিপ্লিনে ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত খেলাধুলা অনুশীলন করছে।

‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন (৩য় পর্যায়)-১ম সংশোধিত’ শীর্ষক প্রকল্পটি ৫৩৭ কোটি ৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই-২০১৮ হতে বাস্তবায়নাধীন আছে। প্রকল্পের সব কাজ জুন-২০২৬ এর মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের ৩২টি অঙ্গের মধ্যে ১৭টি অঙ্গের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি ১৫টি অঙ্গের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নয়টি দশ তলা ভবনের সবগুলোর নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। ১১টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। 

প্রকল্পের অর্থে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল, গ্লাস ওয়ার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় গবেষণাগার, ২টি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, ২টি গভীর নলকূপ এবং সোলার প্যানেল স্থাপন, রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্লান্ট (উন্মুক্ত জলাশয়) তৈরি এবং ৪টি যানবাহন (২টা বড় বাস, ১টি হায়েস মাইক্রোবাস ও ১টি মোটর সাইকেল) ক্রয়ের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, চিকিৎসা ও প্রশাসনিক কাজের জন্য বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে নিজস্ব গাড়ি রয়েছে ৪৬টি। এর মধ্যে ৫২ আসনের নন এসি বাস ১৩টি, দ্বিতল বাস ১টি, ৩৬ আসনের এসি বাস ১টি, ৩০ আসনের এসি কোস্টার ৭টি, নন-এসি মিনিবাস ৫টি, হায়েচ এসি মাইক্রো ৫টি, জীপ ৭টি, কার ৩টি, পিক-আপ ২টি এবং অ্যাম্বুলেন্স ২টি। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য ভাড়াকৃত ১৩টি দ্বিতল বাসসহ মোট ৩৩টি বাস-মিনিবাস রয়েছে।  

প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান এবং নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সেশনজট মুক্ত শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে এবং শিক্ষা-গবেষণা-ক্রীড়াসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নততর মান অর্জনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তরিকভাবে সচেষ্ট রয়েছে।  সুখী-সমৃদ্ধ-শান্তির স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষা বিতরণের ১৭৫ একরের এ ক্ষেত্রে নৈতিক-মানবিক সুযোগ্য মানুষ তৈরির সুমহান কর্মযজ্ঞ প্রতিনিয়ত প্রতিপালিত হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!