জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে থাকা ইবির আরও ৭ শিক্ষক বরখাস্ত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরও ৭ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাত শিক্ষক হলেন- সাবেক প্রক্টর ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিপ্লববিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণের জন্য ভাইস চ্যান্সেলর কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে উক্ত কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭১তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তাদের জীবনধারণ ভাতা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার রায় পড়া শুরু

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে ভূমিকা নেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে গত ১৫ মার্চ আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন।

লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, তথ্যচিত্র, ভিডিও ও পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিটি ওই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লববিরোধী ও দমনমূলক কার্যকলাপে সংশ্লিষ্টতা পায়। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ইবি প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ