বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ইতিহাসের কাঁচামাল: জবি উপাচার্য

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীকে ইতিহাসের কাঁচামাল হিসেবে উল্লেখ্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একটি সাধারণ ক্ষমতা নেয়ার যুদ্ধ বা অভ্যুত্থান ছিলো না। এটার মাধ্যমে রাষ্ট্রকে বদল করা হয়। যেটা আমরা অর্জন করেছিলাম দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে। সেই বিজয়ী দেশটাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পুনরায় পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

তিনি বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, সেই ল্যাংটি পরা বাঙালি জাতি আজ পুরো পৃথিবীকে কাপড় পরাচ্ছে! তবে তিনি দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে বলে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা যেটার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যেটা, সেটা থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি। আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ, মিলেমিশে বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। যেটি ছিল জাতির জনকের স্বপ্ন। এটা আমাদের করতেই হবে।

শুক্রবার বিকাল ৩:৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরসি মজুমদার মিলনায়তনে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের ‘আত্মজৈবনিক’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব ও লেখা প্রকাশের ১২টি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শাকির সবুর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির এমন একটি পরশ পাথর যার সংস্পর্শে যেই এসেছে সেই সোনা হয়ে উঠেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নজরুলসেনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এড. ফজলুল হক খান ফরিদ (সাথীভাই) বলেন, নতুন প্রজন্ম জানেনা পাকিস্তান জেনারেলদের সামনে রাজনীতি কত কঠিন ছিল। এখনকার রাজনীতি তো রোমান্টিক রাজনীতি! ব্যবসা, চাকরী করে টাকা জমিয়ে বিখ্যাত শিল্পপতিরা এখন হঠাৎ করে পরিণত হচ্ছেন বিখ্যাত রাজনীতিবিদে। কিন্তু পূর্বে রাজনীতি এত সহজ ছিলো না। জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের বুঝানো লাগতো।

ড. অধ্যাপক শফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুহা. আবদুল হাননান খান পিপিএম, প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা (আই.জি.পি মর্যাদায়) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার নাজিমুদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও সিএসসি, অধ্যক্ষ নটর ডেম কলেজ, কবি আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেসক্লাব, গীতিকবি সাখাওয়াৎ শাওন, উপ-সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ড. মিল্টন বিশ্বাস, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. শাকির সবুর, অধ্যাপক, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যারিস্টার চৌধুরী মকিম উদ্দীন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ২০১৮-এর জন্য জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে ‘লেখাপ্রকাশের ১২টি সাহিত্য’ পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ