খুবিতে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ

বর্ষবরণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী
বর্ষবরণ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী  © টিডিসি ফটো

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল বাংলা বর্ষবরণ। এ উপলক্ষে সারা দিনব্যাপী ক্যাম্পাসজুড়ে ছিল নানা অনুষ্ঠান। পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নিতেই এসব আয়োজন। এসো হে বৈশাখ— এই বর্ষ আবাহন সঙ্গীতের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ৮টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মেলা অঙ্গন থেকে শুরু করে হাদী চত্বরে পৌঁছায়। সেখানে উপাচার্য বেলুন উড়িয়ে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে শোভাযাত্রাটি নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে ময়লাপোতা মোড় হয়ে রয়্যাল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

উপাচার্য সেখানে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি, কমিটির সদস্য-সচিব ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। নানা রংয়ের ফেস্টুন, ঘোড়া, দোয়েলসহ বর্ণিল সাজের সাথে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাসহ শোভাযাত্রাটি শেষ হলে আনন্দ উৎসবে নেচে গেয়ে উৎফুল্লতা প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারীরা।

নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে আয়োজোন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলায় বিভিন্ন ডিসিপ্লিন ও সংগঠনের পাশাপাশি ছিল শিক্ষক সমিতির স্টল। বিকাল গড়ানোর সাথে সাথেই এসব স্টলে বাড়তে থাকে মানুষের ঢল। মেলা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ফটক দিয়ে নানা বয়সের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। আগত দর্শনার্থীদের একটা বড় অংশই ছিল তরুণ-তরুণী।

স্টল ঘিরে ছিল বাড়তি উন্মাদনা। দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে প্রতিটা স্টলেই ছিল নানা রকম ব্যবস্থা। বিশেষ করে স্টলের সৌন্দর্যের দিক থেকে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগীতা ছিল সবার মধ্যে। মেলার পাশাপাশি বেলা ২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে সংগীত, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ