সদরঘাটে শিক্ষার্থীদের ওপর যুব ও শ্রমিক দল নেতাকর্মীদের হামলার নিন্দা শিবিরের

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির  © লোগো

লঞ্চের ক্যাবিন ভাড়া নিতে চাপ প্রয়োগ করাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীকে মারধর ও এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর যুব ও শ্রমিকদলের নেতাদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জবি, সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের অন্তত ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

 ‍বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ এ নিন্দা ও ‍বিচারের দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ তম আবর্তনের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী নাবিল হোসাইনসহ অনেক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবদলের নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িতদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবদল ও শ্রমিক দলের নেতা সুমন ভুঁইয়া, মুফতিযুল কবির কিরণসহ আরও অনেকেই রয়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। একই সাথে হামলায় জড়িত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবদল ও শ্রমিক দলের নেতা সুমন ভুঁইয়া ও মুফতিযুল কবির কিরণসহ সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছাই। আমরা সবসময় চাই শান্তিপূর্ণ সমাজ। কিন্তু বার বার সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ একটি গোষ্ঠী সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। দেশব্যাপী হত্যা, ব্যবসায়ীদের অধিকার হরণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাতেও একই গোষ্ঠী জড়িত। আমরা মনে করি, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সদরঘাটে শিক্ষার্থীরা যে নৃশংস হামলা ও আক্রমণের শিকার হয়েছে তা যেন ভবিষ্যতে আর না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো অনতিবিলম্বে প্রস্তুত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী নাবিল বরিশালগামী সুন্দর বন-১২ লঞ্চে উঠেন। এ সময় লঞ্চের কর্মীরা তাকে কেবিন ভাড়া নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। নাবিল কেবিন ভাড়া না নিতে চাইলে তার সাথে লঞ্চের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করেন লঞ্চের কর্মীরা। খবর পেয়ে সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সুন্দরবন-১২ লঞ্চটিতে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় অন্তত ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ ঘটনায় সদরঘাটের ইজারাদার ও দক্ষিণাঞ্চল শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভুঁইয়ার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হামলা করেছে শিক্ষার্থীদের উপর।

এদিকে শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় কিরণ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। কোতোয়ালি জোনের এসি ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে কিরণ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ