যে মামলায় গ্রেপ্তার হলেন বেরোবি সাবেক উপাচার্য কলিমউল্লাহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০২:০৩ PM , আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:২৯ PM
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেরোবির বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে সাবেক দুই উপাচার্যসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আব্দুস সালাম বাচ্চু এবং এমএম হাবিবুর রহমান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। পাশাপাশি, ৩০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের চুক্তি যথাযথ মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন না নিয়েই সম্পাদন করা হয়।
এছাড়া, ঠিকাদারের বিল থেকে কাটা নিরাপত্তা জামানতের টাকা ব্যাংকে এফডিআর আকারে জমা রেখে সেই এফডিআর লিয়েনে দিয়ে ঠিকাদারকে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের প্রায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ প্রদানের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও, আর্থিক সহায়তার কারণ দেখিয়ে ব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমে অগ্রিম বিল দেওয়া হয়। এমনকি বিল পরিশোধ হওয়ার আগেই সেই ব্যাংক গ্যারান্টি ছেড়ে দেওয়া হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।
সবশেষে, প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রণীত নকশা অনুসরণ না করে সরকারি ক্রয় বিধিমালা লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, দরপত্রে অস্বাভাবিক মূল্যের প্রস্তাব (ফ্রন্ট লোডিং) থাকা সত্ত্বেও সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিআর ২০০৮) অনুযায়ী যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।