বিক্ষোভে উত্তাল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০১৯, ১১:১৪ AM , আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৫ PM
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলার প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দেন তারা। একই সঙ্গে তাদের অন্য দাবিগুলোও মেনে নেয়ার দাবি জানান।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা থেকে বিরত থাকারও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইমামুল হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ক্যাম্পাসে। কিন্তু ফুল দেয়া ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠানে (মধ্যাহ্ন ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলা হয়। এর প্রতিবাদে এবং ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন নামে শিক্ষার্থীরা।
আরও দেখুন: এবার নিজ শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বললেন ববি উপাচার্য
অন্যদিকে ভিসি ড. ইমামুল হক দাবি করেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের নিয়ে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। বিকেলে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা এবং প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকদের নিয়ে চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, যারা আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা দিবসের মতো জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের রাজাকার বলা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় একটি কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থের জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তারা সুবিধা করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ও ২১ ফেব্রুয়ারিসহ জাতীয় দিবসগুলোতে ছাত্র-শিক্ষক সবার উন্মুক্ত অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা, মঙ্গলবার বিকালের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক পরিচালনা কমিটি শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত করা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সভা-সেমিনারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমের ভাড়া সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা করা এবং টিএসসি সবার জন্য উন্মুক্ত রেখে সেখানে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রাখা।