ইবিতে পরিবেশ বাঁচাতে জুস বিক্রি, অর্থ যাবে বৃক্ষরোপণে

পরিবেশ বাঁচাতে জুস বিক্রি
পরিবেশ বাঁচাতে জুস বিক্রি  © সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও উত্তপ্ত আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তাগিদ দিয়ে থাকেন পরিবেশবিদেরা। দেশে যখন তাপমাত্রা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে সেখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এখন অত্যাবশকীয় হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায়, তাপদাহ থেকে বাঁচতে গাছ লাগাতে অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থীর সংগঠন নিসর্গজ। ক্যাম্পাসে কাঁচা আমের জুস বিক্রি করে সেই জুস বিক্রির টাকায় গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। 

সোমবার (২৬ মে) সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে ‘ড্রিংক ফর ট্রি ক্যাম্পেইন’ করেছে নিসর্গজ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। এদিন শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রির জন্য প্রায় ৩০০ গ্লাস কাঁচা আমের জুস নিয়ে হাজির হয় তারা। গাছ লাগাতে এরকম অভিনব উদ্যোগ সাড়া ফেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মাঝেও। 

জুস পান করে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার উদ্দেশ্য আসলে আমের জুস খাওয়া নয়, আমি এসেছি ভাইয়াদের সাথে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে। আমরা সামাজিক মাধ্যমে গাছ লাগানোর ব্যাপারে যতটা একটিভ বাস্তবে আসলে ততটা না। তাই আজকে নিজে গাছ লাগাতে না পারলেও চেষ্টা করেছি আর্থিকভাবে অংশ নিতে যাতে উনারা ভালো ভালো গাছ লাগাতে পারে। উনারা যেই উদ্যোগটা নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। 

উদ্যোক্তারা জানান, যেহেতু বর্ষাকাল চলছে তাই এখনি গাছ লাগানোর মোক্ষম সময়। আজকে যে জুস বিক্রি হবে সেই টাকা পুরোটাই ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ লাগানোর কাজে। আমরা প্রতি গ্লাস জুসের জন্য নির্দিষ্ট কোন দাম ফিক্সড না করে দামের বিষয়টি পুরোটাই শিক্ষার্থীদের উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের ভাইবোনেরা খুশি হয়ে আমাদের যে দাম দিবেন তাতেই আমরা গাছ লাগাবো। আজকে আমরা শুধু জুস বিক্রি করছি, বিক্রি শেষে পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে আমরা গাছ লাগাবো। 

নিসর্গজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সোহান বলেন, মূলত পরিবেশ নিয়ে কাজ করার প্রতি ভালোলাগার জায়গা থেকেই ২০২২ সালে ৪ জন বন্ধু মিলে এই সংগঠনটি চালু করা। পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আমরা এতদিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, স্কুল পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক কুইজ, রচনা প্রতিযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ক্যাম্পেইন সহ নানা সচেতনতামূলক ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ক্যাম্পাসে ❝ড্রিংক ফর ট্রি❞ নামক ক্যাম্পেইন আয়োজন। আমাদের মূল উদ্দেশ্য জুস বিক্রয় করা নয় বরং বৃক্ষরোপণের জন্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা। আজকে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ আমাদের এধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ