ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ০৪:৫২ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:১০ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে হঠাৎই বেড়েছে মশার উপদ্রব। মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রবে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা। মশার যন্ত্রণায় দিন-দুপুরে, সন্ধ্যায় বা রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ও আবাসিক হলগুলোর কক্ষে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর আবাসিক হলে পড়ার টেবিলেও বসতে পারছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন যত্রতত্র ময়লা ফেলে রাখায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। সাদ্দাম হোসেন হল, শাহ আজিজ হল, জিয়ামোড়, ঝালচত্বর, ডায়না চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছিষ্ট খাবারের প্যাকেট, অব্যবহার্য প্লাস্টিক আবর্জনা দেখা যায়। ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করাও মশার উপদ্রব বাড়ার অন্যতম কারণ। ইদানীং দিনের বেলায় ক্লাসরুমেও মশার উপদ্রপ লক্ষ করা গেছে।
চারুকলা বিভাগের প্রমি বলেন, ‘অবসর সময়ে একটা জায়গায় বসে যে বন্ধুবান্ধব সবাই আড্ডা দেব, মশার জ্বালায় তার কোনো উপায় নেই। বন্ধুবান্ধবদের গল্পের আসরে যদি গল্পের চেয়ে মশার উপদ্রব বেশি হয়, তাহলে সেই আড্ডার কোনো কিছু থাকে? ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড়, নিয়মিত মশা মারার ওষুধও ছেটানো হয় না। এ সমস্যার দ্রুত প্রতিকার করা প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: শাকসু ২৭ বছর অচল, নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন ছাত্রসংগঠনের নেতারা
লালন শাহ হলের শিক্ষার্থী আফজালুল হক বলেন, ‘সাম্পতিক সময়ে ক্যম্পাসে যে পরিমাণ মশার উপদ্রব বেড়েছে তার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। একটা জায়গায় যেয়ে শান্তি নেই, সব জায়গায় মশা। হলের ভেতরেও মশা, ক্যাম্পাসের অন্যান্য স্থানেও মশা। মশা নিধনে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়েনি। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে দ্রুত মশা নিধন শুরু করা উচিত।’
এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের প্রধান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, মশা ও সাপের উপদ্রব কমাতে ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছে। যেহেতু পরিষ্কারের কাজ চলছে তাই আশা করা যায় যে এগুলো শেষ হলে মশা এমনিতেই কমে যাবে। তবে জনবল সংকট থাকায় ফগার ব্যবহার করতে হলে গুচ্ছ পরীক্ষা শেষ হলে করা যাবে।