সনদে বার কাউন্সিলের অনুমোদন নেই

ইবির আইন বিভাগে তালা দিল সান্ধ্যকালীন শিক্ষার্থীরা

ইবির আইন বিভাগে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
ইবির আইন বিভাগে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় আবেদন করতে না পারায় বিভাগের শ্রেণী কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগে চলামান ইভেনিং প্রোগ্রাম (সান্ধ্যকালীন) কোর্সের শিক্ষার্থীরা। বার কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেনিং প্রোগ্রাম কোর্সের (এলএলবি) সনদের অনুমোদনের দাবিতে শুক্রবার সকাল ১০টায় বিভাগে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

একইসাথে বিভাগের চলমান ইভেনিং প্রোগ্রামের সকল পরীক্ষাও বর্জন করে তারা। পরে বিভাগের শিক্ষকরা উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলেও অনেকে পরীক্ষা না দিয়ে চলে যান।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তাদের সদনের (এলএলবি) অনুমোদ না থাকায় পরীক্ষার আবেদন করতে পারছেন না তারা। এক্ষেত্রে বার কাউন্সিল কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ইভেনিং প্রোগ্রাম কোর্সের নিবন্ধন জটিলতার কারণে মূলত এমনটি হচ্ছে। এছাড়া বার কাউান্সিলের নিবন্ধন না নিয়েই বিভাগে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর নামে শিক্ষকরা ব্যবসা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

এ বিষয়ে আন্দোনকরী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, দুই বছর মেয়াদী সান্ধ্যকালীন (এলএলবি) কোর্স শেষ করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে পরীক্ষার আবেদন করতে গেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেনিং প্রোগ্রাম (এলএলবি) এর কোন নিবন্ধন নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

বার কাউন্সিল থেকে এটাও জানানো হয় যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অথবা আইন বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠির কোনো জবাব দেয়া হয়নি।

এদিকে সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিষয়টি নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় শুক্রবার পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধি দল বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।

এরপর বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বসার আশ্বাস দেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম। এছাড়া আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী বার কাউন্সিলের সাধারণ সভায় বিষয়টি উত্থাপনের কথা বলেন তিনি।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ