সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন ইডেন শিক্ষার্থীরা

ঢাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় হল ছেড়ে মূল সড়কে নেমে এসেছেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকেন। কলেজ প্রশাসন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের উদ্দেশ্যেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় ও ইডেন মহিলা কলেজ এলাকায় এই চিত্র দেখা গেছে।

ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্যায়ভাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে। এমনকি তারা সাত কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই আমরা আমাদের ভাইদের সহযোগিতার জন্য বের হয়েছি। তবে এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ইডেন শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করতেও দেখা গেছে। তবে কোনোভাবেই যেন থামানো যাচ্ছে না তাদের। 

এদিকে সংঘর্ষে ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাকিব আহত হয়েছেন। নাকে ও মুখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। জানা যায়, দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থেকে নিবৃত্ত করতে গেলে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত হন রাকিব। 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বাসভবন অবরোধের জন্য আন্দোলনরত সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত সংলগ্ন প্রবেশ পথের বাইরে অবস্থান করলে ভেতরে অবস্থান নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এক পর্যায়ে দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সাইন্সল্যাব, টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এরপর রাজধানীর তাঁতীবাজারেও অবরোধ করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, এ বিষয়ে ২১ দিন আগে তাকে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও সেটি পড়েননি। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চিনেন না বলেই তিনি আক্রমণমূলক ব্যবহার করেছেন। তাই তার অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। 

এছাড়া শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আব্দুর রহমান অশোভন আচরণের জন্য ঢাবি প্রোভিসিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ৫ দফা দাবির কথা জানান। সেগুলো হচ্ছে —

১. ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।

২. সাত কলেজের শ্রেণীকক্ষের ধারণক্ষমতার বাইরে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো যাবে না।

৩. শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।

৪. সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষায়-
নেগেটিভ মার্ক যুক্ত করতে হবে।

৫. সাত কলেজের ভর্তিফির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে, মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ  কমিটির সাথে সমন্বয় করে ঢাবি ব্যতীত নতুন একটি একাউন্টে ভর্তি ফির টাকা জমা রাখতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence