কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর গুজব

কুবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
কুবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার পর একাধিক গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্তত ২০ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আহত এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। 

এ ঘটনায় বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি পোস্ট প্রচার হতে দেখা যায়। পোস্টে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সূত্র উল্লেখ করে লিখা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, পুলিশের গুলিতে রক্তাক্ত ৭ জনের একজন এই মুহূর্তে শাহাদত বরণ করেছেন। ইন্না-লিল্লাহ।’

কিন্তু ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একজন শিক্ষার্থীর মারা যাওয়ার খবরটি সঠিক নয়’। 

ডা. শেখ ফজলে রাব্বি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা মেডিকেলে সর্বমোট ৮ জন আহত অবস্থায় এসেছে। এর মধ্যে ২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বাকি ৬ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তারা আগামী ২৪ ঘণ্টা আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন।’

এর আগে দুপুরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করার উদ্দেশ্যে বের হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাঁধা দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগোতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে কোটা সংস্কারপন্থি শিক্ষার্থীদের উপর শর্টগান দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলির পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এসময় শিক্ষার্থীদেরও পুলিশকে লক্ষ করে ইট ও পাথর নিক্ষেপ করতে দেখা যায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান অন্তর জানান, প্রক্টরের সামনেই শিক্ষার্থীদেরকে মেরেছে পুলিশ। প্রক্টরের ইন্ধন না থাকলে এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা এমন সন্ত্রাসী প্রক্টর চাই না। আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই। 

নাহিদ হাসান নামের আরেকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রক্টরের নেতৃত্বে আগেও ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। যিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না উনি কীসের প্রক্টর?  উনার নিজ দায়িত্বে পদত্যাগ করা উচিত। 

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের অতিরিক্ত এএসপি এমরানুল হক মারুফ বলেন, প্রতিদিন এভাবে রাস্তা ব্লক করে রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা আজ শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে আমরা এখানে এসেছি। শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ বিষয়ে আমরা পরে ব্যবস্থা নিবো। 

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence