কমিটির পরিধি বাড়ল

নীতিমালার আওতায় আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্স

লোগো
লোগো  © ফাইল ফটো

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্স পরিচালনায় নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করে কোর্সগুলোকে আরও গ্রহণযোগ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী ৯ জুলাই সভা করবে এ সংক্রান্ত কমিটি। সভায় বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত আসতে পারে।

জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য কোর্সের নীতিমালা তৈরিতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটিতে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে কমিটির সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে। বর্ধিত এ কমিটির সভা আগামী ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে সান্ধ্য কোর্সের নীতিমালা তৈরির সাথে যুক্ত একজন অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ঢাকা, খুলনা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক ও ইউজিসির দুই কর্মকর্তাকে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটিতে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপককে যুক্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ কমিটি নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু করবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দীর্ঘদিন ধরে সান্ধ্য কোর্স বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা তা মানছে না। এজন্য সান্ধ্য কোর্স বন্ধের চিন্তাভাবনা থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এর পরিবর্তে সান্ধ্য কোর্সকে একক নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

ইউজিসি বলছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য কোর্সকে নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসা গেলে তা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে। কোর্সের ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা যাবে। এতে শিক্ষার্থীরাই লাভবান হবেন। শিক্ষার্থীদের থেকে আদায় করা ফি’র সুষ্ঠু ব্যবহারও নিশ্চিত করা যাবে। নিয়মিত প্রোগ্রামের মান অক্ষুণ্ন রেখে দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সেজন্য এ নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি সদস্য (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. হাসিনা খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সান্ধ্য কোর্স পরিচালনার নীতিমালা সংক্রান্ত বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি ইউজিসিতে যুক্ত হওয়ার আগে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে জেনে পরবর্তীতে জানাতে পারব।’


সর্বশেষ সংবাদ