ইবির উন্নয়ন প্রকল্পের সোয়া ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৫৩৭ কোটি টাকা মেগাপ্রকল্পের কাজ চলছে। সম্প্রতি ভুয়া বিলের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) সর্বশেষ চলতি বিলে সোয়া ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অনুসন্ধানে উঠে আসে এ ঘটনার সত্যতা।

গত ১৯ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন খোলা হয়। অনিয়মের সত্যতা পেলেও প্রতিবেদনে জড়িতদের শাস্তির সুপারিশে নির্ধারিত ধারা উল্লেখ না থাকায় সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সিন্ডিকেট। পরে কমিটির এ রিপোর্ট পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তির ধারা নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য পৃথক একটি কমিটি করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম মাহবুবকে আহ্বায়ক, ইবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলামকে সদস্য ও আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমানকে সদস্য-সচিব করা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের সর্বশেষ চলতি বিল প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যের গরমিল সংক্রান্ত অভিযোগ উঠে। অভিযোগের বিষয়ে ভিসি কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনা ও সুপারিশ অনুযায়ী ইসলামিক ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়ি ইফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডিসিপ্লিন রুলস-এর আলোকে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করা নেই।

এটি নির্ণয় ও নির্দিষ্ট করার জন্য সিন্ডিকেটের ২৬৩তম সভার ৫ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্য সচিব ড. আনিচুর রহমান বলেন, বিষয়টি জেনেছি, তবে এখনও চিঠি হাতে পাইনি। এই বিষয়ে যখনই ডাকা হবে সাড়া দেব।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগাপ্রকল্পের কাজের সোয়া ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাস পর গত ৯ মার্চ কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি।

তিন পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্টদের অনিয়মের বিষয় উঠে আসে। প্রতিবেদনে আর্থিক অনিয়মের সত্যতাও পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে সূত্র। এদিকে, একই অভিযোগের তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ