পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যের সমন্বয়ে দেশ এগোবে: ইবি ভিসি

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আয়োজিত সভা
রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আয়োজিত সভা  © টিডিসি ফটো

পাহাড় ও সমতলের বৈচিত্র্যের সমম্বয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আয়োজিত সভায় মঙ্গলবার তিনি এসব এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, পাহাড় ও সমতলের মানুষের ভেতর অংশীদারিত্ব তৈরি করে সুশাসন, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় এই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। পাহাড় ও সমতলের মানুষ এদেশেরই অংশ। আমাদের সংস্কৃতির ভিন্নতা আছে। কৃষ্টি-কালচারের বৈচিত্র্য আছে। এই ভিন্ন সংস্কৃতি সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি আরও এগিয়ে নিতে হবে।

নৈতিকতা, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের উদ্দেশ্য এ সভা আয়োজন করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) নৈতিকতা কমিটি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ইবির বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) টিমের আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমা ও ইবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইবি রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

সভার শুরুতে শিক্ষা, গবেষণা ও সংস্কৃতির মত বিভিন্ন বিষয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির অংশ হিসেবে এই সমন্বয় সভা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার বলেন, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে এমওইউ স্বাক্ষর করেছি। যা পরবর্তীতেও বজায় থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের সকলকে সবসময় শুদ্ধাচারের চর্চা করতে হবে। প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করলে দেশ ও জাতি এগিয়ে যাবে। আমরা যদি নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে চলি, তাহলে আমরা সুন্দর মানুষ হতে পারবো।

সভা শেষে রাবিপ্রবি ও ইবির শিক্ষার্থীদের যৌথ অংশগ্রহণে পাহাড়ি ও সমতলের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিনিময় এবং যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ