ইবিতে আবারও নবীন শিক্ষার্থীকে র‍্যাগিং: তদন্তে ২টি কমিটি গঠন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল কর্তৃপক্ষ পৃথক এ কমিটি গঠন করে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইবি প্রশাসনের তদন্ত কমিটিতে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর মিথুন বৈরাগীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অপর সদস্য হলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন। 

আর হল কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটিতে একই হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও হলের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। চার সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবাসিক শিক্ষক আব্দুল হালিম ও ড. হেলাল উদ্দিন। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এর আগে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর রুমে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে হাত ওপরে উঠিয়ে রাতভর টেবিলে দাঁড় করে রাখার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে কোনো লিখিত অভিযোগ না দিলেও বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হয়। 

আরও পড়ুন: র‍্যাগিংয়ের নামে নবীন ছাত্রকে উলঙ্গ করে রাতভর নির্যাতন ছাত্রলীগের

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুদাসসির খান কাফি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী এবং হলের ১৩৬নং কক্ষে থাকেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, গত বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটার পরে হলের সিনিয়র ভাইয়েরা মীমাংসা করে দিয়েছেন।’ অন্যদিকে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাগর। তিনি জানান, বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি বুধবার হলের বাইরে ছিলাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় জানান, যারা অপরাধী তারা দলের কেউ না। আশা করি, তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি উঠে আসবে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে একটা নোট প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। পরে প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে একই হলের একই কক্ষে এক শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিচার চেয়ে প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তাকে পুনরায় মারধর করা হয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগটি উঠিয়ে নিতে বাধ্য করা হলে লিখিত অভিযোগ উঠিয়ে নেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence