ইবিতে ভাংচুর ও র‌্যাগিংয়ে জড়িতদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর ও র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। জমাকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ঘটনায় বহিষ্কার হতে পারেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সদস্য সচিব থাকবেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ। আলোচ্যসূচির বাইরে পূর্ববর্তী সভার কার্যবিবরণী ও অন্যান্য কোনো বিষয় থাকলে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে কমিটির অন্য সদস্যদের সভা সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ, আতিক আরমানের বিরুদ্ধে মেডিকেলে ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠে। এরপর মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ও ভূক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেন প্রশাসনের কাছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই তিন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহবায়ক করা হয়।

এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন: ডাকসুর সাবেক নেতা আখতারের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠন

অভিযুক্তরা হলেন, হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে উভয় কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে কি সুপরিশ করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। দুটি ঘটনায় পৃথকভাবে গণবিজ্ঞপ্তি দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দিয়েছি। তবে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোনো সাড়া পাইনি। এর বাইরে কিছু বলা সমীচীন হবে না।

র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন যেহেতু গোপনীয় বিষয়, তাই আর কিছু বলা যাচ্ছে না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence