আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি: ইবি ছাত্রী ফুলপরী

ফুলপরী খাতুন
ফুলপরী খাতুন  © ফাইল ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের এমন শাস্তিতে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এতে অভিযুক্তরা তাদের অন্যায়ের উপযুক্ত শাস্তি পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাঁচজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। উনারা অপরাধ করেছেন, সেজন্য শাস্তি পেয়েছেন। এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

ফুলপরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যদি এরকম বিচারব্যবস্থা থাকে তাহলে এরকম কাজ আর কখনো হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিরাপদভাবে পড়াশোনা করতে পারবে। অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আবেদনও জানান।

সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় (২৬০তম) অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেট সভার সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এসব নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী। বাকি চারজনও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে রুমে ডেকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের পাল্টা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ৪ মার্চ পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়। এরপর গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থনে শেষবারের মতো সাক্ষাৎকার দিতে ক্যাম্পাসে আসেন অভিযুক্তরা।

গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইকোর্টের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্তদের এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু শাস্তি বিধিসম্মত না হওয়ায় গৃহীত শাস্তি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পুনরায় শাস্তি নির্ধারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের বিধি ১ এর ৪, ৫, ৭ ধারা এবং বিধি ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণ করে আগামী ২৩ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সর্বশেষ আজ অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence